অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সংবিধানে গণভোটের কোন সুযোগ নেই। গণভোট করতে হলে সংবিধানের সেই বিধান পরিবর্তন করতে হবে। এই সংশোধনের বিষয়টি সংসদে আলোচনা করে জনগনের মতামত নিয়েই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গণভোটের বিষয়টিতে মত দেওয়া ছিল জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে বিএনপি’র উদারতা। এই উদারতা বিএনপির দেখানো ঠিক হয়নি।
সংবিধানে নেই তারপরও গণভোট করতে হবে কেন সেই প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু বলেন , ডাল মে কুচ কালা হে–! ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতান্ত্রিক ওর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে।
সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঢাকা শহরের কেউ যদি নিজেদের মত রাষ্ট্র বাংলাদেশকে চালাতে চাই তবে শেখ হাসিনার সাথে তাদের কোন পার্থক্য থাকলো কি?
তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তববায়ন করবে বিএনপি, আর কেউ যদি আর কিছু সংস্কার করতে চান তবে নির্বাচনে গিয়ে জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে তা বাস্তবায়ন করাও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর এদেশে অফিস করার ক্ষমতা নেই যেভাবে পাকিস্তানের এদেশে ক্যান্টনমেন্ট করার অধিকার নেই। পাকিস্তান খাস দিলে ক্ষমা চাইলেই কি এদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এদেশে ক্যান্টনমেন্ট করার অনুমতি দেবো না দেয়া যায়?
একই অনুষ্ঠানে সিবিপির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জমি কিনেছে দলিল একভাবে লিখে, টাকা পয়সা নিয়ে পরে দলিল বদলে গেছে। জুলাই সনদেও এইভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। আর গণভোটে ৪৭ টি ইসুতে হ্যাঁ-না ভোটে গণভোট উদ্ভবের মানে ১০টির সাথে একমত বাকি ২০টির সাথে দ্বিমত । এভাবে গণভোট করা মানে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করতে গনভোটের মাধ্যমে জনগনের সাথে প্রতারণা।