অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ট্রাম্প। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কিছুই জানতেন না- বলছেন ট্রাম্প। অথচ এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যই দাবি করেছিল খাশোগি হত্যায় অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটিতে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি প্রিন্স।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারে নেওয়া হবে।
এ সময় ট্রাম্প কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “মানে আপনি বলছেন, ৬০০ বিলিয়ন এখন ১ ট্রিলিয়ন হবে?” জবাবে এমবিএস বলেন, “নিশ্চিতভাবেই, কারণ আজ যে চুক্তিগুলো আমরা করছি, সেগুলোই এ বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে সহজ করবে।”
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে সফর করছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। যুবরাজকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প দাবি করেন, খাশোগি হত্যার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না সালমান।
যদিও ট্রাম্পের এই বক্তব্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। ২০২১ সালে প্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, খাশোগিকে ‘গ্রেপ্তার বা হত্যা’ করার অভিযানে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন যুবরাজ সালমান। তিনি খাশোগি হত্যাকাণ্ডকে ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘বড় ভুল’ বললেও দাবি করেছেন সৌদি আরব সঠিক তদন্ত ও ব্যবস্থা নিয়েছে।
খাশোগি বিতর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হচ্ছে। এই সফরে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের বিষয়েও আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পথে।
যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের অর্থনৈতিক ও সামরিক স্বার্থের জন্যই ট্রাম্প এ ধরণের মন্তব্য করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।