ক্যারিবিয়ান সাগরে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর হামলা
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধাপরাধ করেছে- এমন একটি ভিডিও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার প্রথম হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা হাত নেড়ে বেঁচে থাকার আকুতি জানালেও তাদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয় এবং তারা নিহত হন। এ ধরনের আচরণ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএস শনিবার দু’টি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কংগ্রেস সদস্যদেরকে এমন ভিডিও দেখানো হয়েছে যাতে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে কারিবিয়ান সাগরে মাদক বহনের সন্দেহে একটি নৌকার ওপর মার্কিন হামলার ঘটনা রয়েছে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে- প্রথম হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া দু’জন ব্যক্তি দ্বিতীয় হামলায় নিহত হওয়ার আগে হাত নেড়ে সংকেত দিচ্ছিলেন। তারা হয়ত সাহায্য চাইছিলেন।
সিবিএস লিখেছে, ২ সেপ্টেম্বর পরিচালিত এই অভিযানটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের পক্ষ থেকে মাদক বহনের সন্দেহের বশে অন্তত ২০টিরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই অভিযান মাদক পাচার সমূলে নির্মূল করতে দরকার ছিল, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অভিযান আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়, আন্তর্জাতিক আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই সব হামলায় ৮০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জন ২ সেপ্টেম্বরের হামলায় নিহত হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সেনাবাহিনী ডুবে যাওয়া নৌকার ওপর দ্বিতীয়বার হামলা চালিয়ে প্রথম হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া দু’জনকে হত্যা করেছে—এই তথ্য সামনে আসার পর পুরো ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।
কিছু ডেমোক্র্যাট ও আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, হামলার শিকা নৌকা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট দাবি করেছেন, দ্বিতীয় দফা হামলা হলেও তা ছিল বৈধ এবং নৌযানটির পরিপূর্ণ ধ্বংস নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটা প্রয়োজনীয় ছিল।