পরাক্রমশালী ও মর্যাদাবান আল্লাহ্ মানবকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। তাকে মাটির উপাদান থেকে সৃষ্টি করা হলেও আল্লাহ্ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ও উত্তম গুণাবলী তাকে অন্যান্য যাবতীয় সৃষ্টির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে।
মহান আল্লাহ্ মানুষের মধ্যে ভালো ও মন্দ এ দুটি বিপরীত গুণ প্রদান করেছেন। তাকে ভাল-মন্দ বিচারের ক্ষমতাও দান করা হয়েছে, যাকে বিবেক বলা হয়। ক-ুপ্রবৃত্তি সবসময় মন্দের স্বপক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করছে। অপর পক্ষে বিবেক সর্বদাই ন্যায়নিষ্ঠার সাথে মন্দকে এগিয়ে চলার পক্ষে সমর্থন দান করছে। ভাল ও মন্দের সংগ্রামরূপ এহেন অগ্নি পরীক্ষার ভিতর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় মানুষ সতত আল্লাহ্র হুকুম পালনে আতœনিয়োগ করতে প্রয়াসী । এ যুদ্ধই তাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে উন্নীত করে।
১. নিশ্চয়ই ফেরেশতাগণ বলেছেন, “হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনি আদম সন্তানকেও সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আপনি তাদেরকে এরূপ স্বভাব দান করেছেন যে , তারা খাবার খায়, পানীয় পান করে, পোশাক পরিধান করে, স্ত্রী সহবাস করে, চতুষ্পদ পশুর পিঠে অরোহণ করে, ঘুমায় এবং বিশ্রাম করে। কিন্তু আপনি আমাদের জন্য এর কিছুই করেননি। অতএব, আপনি তাদের জন্য দুনিয়া নির্ধারিত করে দিন, আর আমাদের জন্য পরকাল।” তখন মহান ও মর্যাদাশীল আল্লাহ্ বললেন, “আমি যাকে স্বহস্তে সৃষ্টি করেছি এবং যাতে আমার সৃষ্ট আতœা ফুঁকে দিয়েছি, তাকে এর মত করব না। যাহোক আমি বলেছি, হয়ে যাও, তখনই তা হয়ে গিয়েছে।”
ইবনে আসাকির আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আনাস (রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
Leave a Reply