১. বরকতময় আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন, “আমি আমার বান্দাদের জন্য এমন সব বস্তু নির্মাণ করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কর্ণ শুনেনি , আর কোন মানুষের অন্তর কল্পনা ও করতে পারে না।” ইমাম আহমদ,শায়খাইন, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবনে জারীরও অনুরূপ হাদীস মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন ।
২. মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “এটা আমার রহমত, এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করি, আর তা হলো জান্নাত।” শায়খাইন আলোচ্য হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন্
৩. জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর ঝগড়া করল। জান্নাত বলল, আমাতে দুর্বল ও মিসকিনগণ প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম বলল, অত্যাচারী ও অহংকারী আমাতে প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ্ জাহান্নামকে বললেন, “তুমি আমার শাস্তি। তোমার দ্বারা আমি যাকে ইচ্ছা শাস্তি প্রদান করি।” তিনি বেহেশ্তকে বললেন “তুমি আমার রহমত। তোমার দ্বারা আমি যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করি। আর তোমাদের প্রত্যেকের জন্য নিজ নিজ স্থানে নির্ধারিত আছে।” ইমাম তিরমিযী ও মুসলিম আলোচ্য হাদীসখানা আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৪. জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর ঝগড়া করল। জাহান্নাম বলল, “আমাকে অহঙ্কারী ও উৎপীড়কদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। আর জান্নাত বলল, “আমার কি অবস্থান জান? আমার মধ্যে দুর্বল, দরিদ্র ও অক্ষম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ প্রবেশ করবে না।” মহান আল্লাহ্ তা‘আলা জান্নাতকে বললেন “নিশ্চয় তুমি আমার রহমত আমি তোমার দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে খুশি করুণা করব। আর তিনি জাহান্নামকে বললেন, “তুমি আমার আযাব। তোমার দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে খুশি শাস্তি দান করব। আর তোমাদের উভয়ই পূর্ন হবে।” অতঃপর জাহান্নাম পূর্ণ হবে না, যে পর্যন্ত না আল্লাহ্ তা‘আলা তাতে তার কুদরতী পা রাখবেন। সাথে সাথে জাহান্নাম বলবে, “যথেষ্ট যথেষ্ট।” সে সময় জাহান্নাম পূর্ণ হবে তার এলাকা পূর্ণ হবে। তার একাংশ অপরাংশের দিকে সঙ্কুচিত হয়ে আসবে। আল্লাহ্ স্বীয় সৃষ্টির কারো ওপর জুলুুুুম করবেন না। বেহেশ্তের অবস্থা তখন এমন হবে যে, আল্লাহ্ তার জন্য নতুন সৃষ্টি করবেন। ইমাম আহমদ ও শায়খাইন আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৫. আল্লাহ্ তা‘আলা জান্নাতবাসীদেরকে বললেন, হে জান্নাতীগণ তখন তারা বলবে,“আমরা হাযির আছি।” তখন তিনি (আল্লাহ) জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা বলবে , আমাদের এমনকি হয়েছে যে, আমরা সন্তুষ্ট হবো না ? “অথচ আপনি আমাদেরকে যা দিয়েছেন, যা সৃষ্টির অন্য কাউকে দেননি” তখন তিনি বললেন ,আমি কি তোমাদেরকে তা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কোন কিছু দেব না?” তিনি বলবেন,———————–আর কখনো আমি তোমাদের উপর অসন্তুষ্ট হব না। ইমাম তিরমিযী ইমাম আহমদ ও শায়খাইন আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
Leave a Reply