July 1, 2025, 12:45 pm
শিরোনামঃ
স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই বিনাশের প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দে কার্পণ্য নয় : অর্থ উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ শরীয়তপুরে সাত দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ইলন মাস্ক ফোন কল ফাঁসের জের ধরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

শিরক ও নাস্তিকতা সম্পর্কে হাদীসে কুদসীসমূহ (বাংলা অর্থ)

১. মহান আল্ল­াহ্ তা’আলা বলেছেন, যাদেরকে আমার অংশীদার স্থির করা তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। যে ব্যাক্তি কোন আমল এবং এতে আমার সাথে (কাউকে বা কোন কিছুকে) অংশীদার স্থির করে আমি তাকে পরিত্যাগ করি এবং সে যা আমার সাথে অংশীদার স্থির করে একেও আমি অগ্রাহ্য করি। – মুসলিম ও ইবনে মাজাহ হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে আলোচ্য হাদীসখানা রেওয়ায়েত করেছেন।

২. মর্যাদাবান আল্র­াহ্ তা’য়ালা বলেছেন, যে ব্যাক্তি এ বিষয়ে জ্ঞান রাখে যে, আমি যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়ার অধিকারী। আমি তাকে ক্ষমা করে দিই। আর আমি কোন দোষ ধরি না, যে পর্যন্ত সে আমার সাথে কোন কিছুকে অংশিদার না করে। – তিবরানী ও হাকেম আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল­াহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন।

৩. মহান মর্য়াদাবান আল্ল­াহ্ তা’য়ালা বলেছেন, হে বনী আদম! যে পর্যন্ত তুমি আমার ইবাদত কর এবং আমার নিকট আশা পোষণ কর, আর আমার সাথে কোন অংশিদার না কর , সে পর্যন্ত তোমার সকল পাপ আমি মোছন করে দিই। আর যদি তুমি সপ্ত আকাশ পূর্ণ অপরাধ ও গুনাহ্ নিয়ে আমার দিকে অগ্রসর হও, আমি তদনুরূপ ক্ষমা নিয়ে তোমার দিকে অগ্রসর হই এবং তোমাকে ক্ষমা করি।

৪. কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের কোন এক ব্যাক্তিকে জিঞ্জাসা করা হবে, তুমি কি মনে কর তোমার নিকট যদি দুনিয়ার কোন বস্তু থাকতো তবে তুমি তা মুক্তির জন্য বিনিময় হিসেবে দান করতে? তখন জবাবে সে বলবে, হ্যাঁ। তখন আল­াহ বলবেন,      -আমি তোমার নিকট এর চেয়েও সামান্য কিছু চেয়েছিলাম। আদমের পৃষ্ঠে থাকাকালে তোমার নিকট চেয়েছিলাম যে, তুমি আমার সাথে কোন কিছু অংশিদার স্থির করবে না। তখন তুমি অংশিদার স্থির না করার ওয়াদা করেছিলে। – আহমদ ও শায়খাইন আবু আওয়ানা ও ইবনে হাব্বান হযরত আনাস (রাঃ) থেকে আলোচ্য হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।

৫. মহান আল্র­াহ তা’আলা বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের সকল উম্মত (তর্কচ্ছলে) সব সময় বলতে থাকবে এটা হলো কিভাবে ? এমনকি ‘শেষে বলবে, (আচ্ছা) “আল­াহ তা’আলা এ সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন; কিন্তু আল­াহকে  কে সৃষ্টি করেছে ?”- ইমাম মুসলিম ও আবু আওয়ানা হযরত আনাস (রাঃ) থেকে আলোচ্য হাদীসখানা রেওয়ায়েত করেছেন।
(‘আল্ল­াহ তা’আলাকে কে সৃষ্টি করেছে ?’ এ জাতীয় প্রশ্ন করা শরীয়তে স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হলো এই যে, এরূপ চিন্তায় মগ্ন হলে মানুষ নিজের সীমিত শক্তির দ্বারা  স্রষ্টার সত্ত¡া সম্পর্কে সকল রহস্য উদ্ঘাটন করতে অক্ষম হবে। ফলে সে নাস্তিকতাবাদে দীক্ষিত হয়ে চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়। )

৬. তোমাদের প্রভু বলেছেন, যে ব্যাক্তি আমার সৃষ্টির অনুরূপ সৃষ্টি করেছে তার চেয়ে বেশী জালিম আর কে আছে ? শক্তি থাকলে তাদেরকে একটি মশা সৃষ্টি করতে বল, অথবা একটি কণা সৃষ্টি করতে বল। – ইবনুন নাজ্জার আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে রেওয়ায়েত করেছেন।
(মূর্তি নির্মানকারী, পুতুল পূজারী মুশরিকদেরকে মহান আল্ল­াহ্ এই বলে প্রতিদন্ধিতায় ডেকেছেন যে, তাদের ক্ষমতা থাকলে তারা যেনো একটি মশা অথবা কণা সৃষ্টি করে হাজির করে।)

৭. মহান ও মর্যাদাশীল আল্ল­াহ্ বলেন, যে ব্যক্তি কোন নেককাজ করে তার জন্য এর দশগুণ বা ততোধিক প্রতিদান রয়েছে। আর যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ করে, এর সমতুল্য অথবা আমি তা ক্ষমা করে দিই। আর যে ব্যক্তি আমার সাথে কোন কিছু অংশীদার স্থির না করে পৃথিবী পরিমান গুনাহ করে তারপর আমার সাথে সাক্ষাত করে, আমি তাকে এর সমপরিমাণ ক্ষমা প্রদান করে থাকি।  আর যে ব্যক্তি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যে ব্যক্তি আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে দু’হাত অগ্রসর হই। যে ব্যক্তি আমার দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে দ্রুতপদে অগ্রসর হই। – আহমদ, মুসলিম, ইবনে মাজাহ ও আবু আওয়ানা আলোচ্য হাদীসখানা আবু যর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন।

আজকের বাংলা তারিখ

July ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Jun    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page