“ যারা তাদের রবের আহŸানে সাড়া দেয়, নামায পড়ে, পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের যে জীবিকা দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে। সূরা : শুরা ঃ আয়াত : ৩৮)
১. হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আমাদের ইস্তিখারা করা সম্পর্কে এভাবে শিখাতেন যেরূপ কোরআনের কোন সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি ইরশাদ করতেন, তোমাদের কোন কাজ করার ইচ্ছা করে সে যেন দু’রাকাত নফল নামায পড়ে নেয়। তারপর যেন নিম্নের দো’আ পড়ে। “আল্লাহুম্মা ইন্না আসতাখিরুকা বিইলমিকা, ওয়া আসতাকদিরুকা বিকুদরাতিকা————-ওয়া আকিবাতি আমরি। অর্থাৎ “হে মহান আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে কল্যাণ চাই, তোমার ইলমের মাধ্যমে। তোমার কাছে শক্তি কামনা করি, তোমার প্রদত্ত কুদরতের সাহার্য্যে। তোমার কাছে অনুগ্রহ চাই, তোমার মহা অনুগ্রহ হতে, তুমি সর্বোপরি ক্ষমতাবান। আমার কোন ক্ষমতা নেই, তুমি সর্বজ্ঞ, আমি কিছুই জানি না, তুমি সকল গোপন বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ অবগত। হে মহান আল্লাহ্! তোমার ইলেম যদি একাজ- যা আমি করতে চাই, আমার দ্বীন আমার জীবন-যাপন ও কর্মফলের দিক হতে দুনিয়া ও আখিরাতের দিক দিয়ে ভাল হয়, তা হলে তা করার শক্তি আমাকে দাও, সেই কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও এবং তাতে আমার জন্য বরকতময় কর। পক্ষান্তরে তোমার ইলমে উক্ত কাজ যদি আমার দ্বীন, আমার জীবন-যাপন ও কর্মফলের দিক হতে দুনিয়া অথবা পরকালের দিক দিয়ে মন্দ হয়, তাহলে আমার ধ্যান-কল্পনা উক্ত কাজ হতে ফিরিয়ে নাও, তার খেয়াল আমার অন্তর হতে দূরীভূত করে দাও। আমার জন্য যেখানে ভাল ও কল্যাণকর রয়েছে তার ফয়সালা করে দাও এবং আমাকে তারই ওপর সন্তুষ্ট করে দাও। এরপর নিজের প্রয়োজনের কথা বলবে। (বোখারী শরীফ)
Leave a Reply