অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মোল্যার মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেইস বুক) ভাইরাল হওয়াতে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, এই যদি হয় নেতার কর্মকান্ড তাহলে সমাজ থেকে মাদক দুর হবে কিভাবে।
গ্রামবাসী জানান, সিদ্দিক মোল্যার পাশে বসে যে যুবকটি ইয়াবা সেবনে সহযোগিতা করছে তার নাম মুকলেছ মোল্যা। এঁটা তাদেরই বাড়ি। এই মুকলেছ মোল্যা মাদক কারবারীর সাথে জড়িত এবং মাদক মামলায় জেল খেটেছে কয়েকবার। বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন মোল্যা মুকলেছ মোল্যা ও সিদ্দিক মোল্যার এই ইয়াবা সেবনের দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করে জামাল আহমেদের ম্যসেঞ্জারে আপলোড করে। জামাল তার জামাল আহমেদ নামের আইডি থেকে ফেসবুকে আপলোড করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
তবে সিদ্দিক মোল্যার দাবি তার ছবিকে এডিট করা হয়েছে। এঁটা মূলত জামাল আহমেদের ছবি। ষড়যন্ত্র করে সে তার মুখমন্ডলকে এডিট করেছে। কোন মতেই এটাঁ তার ছবি না। তিনি জামাল আহমেদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, এটা সিদ্দিক মোল্যাই। এ ছবিটি ৩ বছর আগের। তখন তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল বলে ছবিটি প্রকাশ পায়নি।
এ বিষয়ে জামাল আহমেদ বলেন, ছবি দেখলেই বুঝা যায় এঁটা এডিট করা নয়। সিদ্দিক মোল্যার এ ধরণের ছবি আরও ২০ থেকে ২৫ টি আছে। যদি নিউজ করেন সব দিয়ে দেব। ছবি ডিলিট করার জন্য চাপ আসছে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে। এমনকি থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকও কয়েকবার ফোন করছে কিন্তু আমি রিসিভ করিনি। সিদ্দিককে আমি সভাপতি বানিয়েছি। অথচ সে এখন আমার সাথে টক্কর দেয়। সে আমার চাচা শ্বশুর, প্রয়োজনে তার ভাতিজিকে তালাক দেব।
Leave a Reply