অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নভেম্বরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সম্মেলন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ায় বৈঠককালে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তারা ‘অধিকতর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক ক্যুর পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মিয়ানমারে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আসিয়ানের উদ্বেগ প্রকাশ ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও দেশটির রাজনৈতিক সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।
জাকার্তায় জোটের প্রধান কার্যালয়ে এই জরুরি বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোন বলেন, ‘তবে, আসিয়ানকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা নয়, বরং মিয়ানমারে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য দেশটিকে সহায়তায় আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই বৈঠকে একজন অ-রাজনৈতিক ব্যক্তিকে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জানিয়েছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির বর্বরোচিত সামরিক দমন অভিযানে ২ হাজার ৩০০-র বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেন, মিয়ানমার গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে গত এক দশকে যে অগ্রগতি অর্জন করেছিল, জান্তা তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসিয়ানের জন্য ওয়াশিংটনের ‘যথেষ্ট শ্রদ্ধা’ রয়েছে। কিন্তু এই সংকটের জন্য জোটটির নিজস্ব পরিকল্পনায় তেমন একটা অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা হতাশ।
মার্কিন কর্মকর্তারা মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা বন্ধ, সহায়তা বৃদ্ধি ও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
জুলাই মাসে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন বলেন, ‘আমি মনে করি—আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে মিয়ানমার সরকারকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
Leave a Reply