অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউরোপে শীতকাল অতি সন্নিকটে। শীতকে ঘিরে গ্যাস মজুদ শুরু করে দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এদিকে সঞ্চিত গ্যাস সর্বনিম্ন স্তরে ঠেকেছে যুক্তরাজ্যে। ব্রিটিশ গ্যাস কোম্পানির মালিক বলেছেন, যুক্তরাজ্যের মাত্র ৯ দিন চলার মতো গ্যাস বাকি আছে। এই শীতে ঘাটতি হলে ব্রিটিশরা তিন ঘণ্টার পরিকল্পিত বিদ্যুতের ঘাটতির মুখোমুখি হতে পারে।
মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, শীতের আগে একটি বিশাল স্টোরেজ সাইট পুনরায় চালু করেছে ব্রিটেন।
ব্রিটেনের বৃহত্তম গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রিকা বলেছে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যের গ্যাস স্টোরেজ নিম্ন স্তরে রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে জার্মানির গ্যাস রয়েছে ৮৯ দিনের, ফ্রান্সের ১০৩ দিনের এবং নেদারল্যান্ডসের ১২৩ দিনের।
এনার্জি প্রতিষ্ঠানটি শুক্রবার ঘোষণা করেছে, এটি তার রাফ গ্যাস ক্ষেত্রটি পুনরায় চালু করছে। রাফ গ্যান ক্ষেত্রটি মূলত ইয়র্কশায়ার উপকূলে উত্তর সাগরের নীচে একটি স্টোরেজ সুবিধা। এর ফলে যুক্তরাজ্যের গ্যাস ক্ষমতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর সাহায্যে এই শীতটা ভাল করে পার করতে পারবে ব্রিটেন।
সেন্ট্রিকা গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ ক্রিস ও’শিয়া বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং পরিবর্তনে যথেষ্ট বিনিয়োগের পরে এই শীতের জন্য স্টোরেজ অপারেশনে ফিরে আসতে পেরেছি। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য রাফ ক্ষেত্রটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মিথেন এবং হাইড্রোজেন স্টোরেজ সুবিধায় পরিণত করা, যুক্তরাজ্যের জ্বালানি সুরক্ষাকে শক্তিশালী করা, ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি নেট জিরো ইলেক্ট্রিসিটি সিস্টেম সরবরাহ করা, ২০৪০ সালের মধ্যে হাম্বার অঞ্চলের মতো যুক্তরাজ্যের শিল্প ক্লাস্টারগুলিকে ডিকার্বোনাইজ করা এবং জ্বালানির নিট রপ্তানিকারক হয়ে ফিরে এসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে সাহায্য করা।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বল্প মেয়াদে আমরা মনে করি রাফ যখন উদ্বৃত্ত থাকে তখন প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চয় করে এবং দেশের ঠান্ডা ও সর্বোচ্চ চাহিদার সময় যখন এটির প্রয়োজন হয় তখন এই গ্যাস উৎপাদন করে আমাদের জ্বালানি ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকাপ না দিলেও এই শীতটা ভালভাবে পার করতে সাহায্য করবে।
ন্যাশনাল গ্রিড ইএসও (ইলেকট্রিসিটি সিস্টেম অপারেটর) এই শীতে গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিলে ব্রিটিশরা তিন ঘণ্টার পরিকল্পিত বিদ্যুত কাটতে পারে বলে সতর্ক করার পরে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ন্যাশনাল গ্রিডের বস জন পেটিগ্রুর মতে, ব্ল্যাকআউট সম্ভবত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে সপ্তাহের দিন সন্ধ্যায় ঘটতে পারে যখন বিশেষভাবে ঠান্ডা থাকবে।
Leave a Reply