অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘ইরান রবিবার বভার-৩৭৩ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের একটি আপগ্রেড সংস্করণ উন্মোচন করেছে যার রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি। সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদরেজা আশতিয়ানি উপস্থিত ছিলেন। একটি দূরপাল্লার সাইয়্যাদ বি-৪ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সিস্টেমটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল।
ইরানের সেনাবাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী রেজা সাবাহিফার্দ বলেছেন, ‘রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম জঙ্গিবিমান এবং ড্রোনকেও ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ‘বভার-৩৭৩’। ৪৩ হাজার ফুট উঁচুতে থাকা ড্রোনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
যার মানে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান এফ-৩৫ কেও ধ্বংস করতে সক্ষম বভার-৩৭৩ এর নতুন সংস্করণ, যদি এফ-৩৫ তার সর্বোচ্চ উচ্চতায় না ওড়ে।
বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টিলথ যুদ্ধবিমান। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি এফ-৩৫। এটি ঘণ্টায় ম্যাক ১.৬ গতিতে (১২০০ মাইল) ছুটতে পারে। আর সর্বোচ্চ ৫০ হাজর ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে পারে।
অন্যদিকে বভার-৩৭৩ এর নতুন সংস্করণটি ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতার বস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া বভার-৩৭৩ এর রাডার ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে একটি লক্ষ্য শনাক্ত করতে পেরেছে।
আপগ্রেড করার আগে বভার-৩৭৩ মিসাইল সিস্টেম যথাক্রমে ৩৫০ কিমি, ২৬০ কিমি এবং ২০০ কিমি রেঞ্জে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত, ট্র্যাকিং এবং আঘাত করতে সক্ষম ছিল।
বভারের নতুন সংস্করণটি ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম মার্কিন এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানের জন্য কতটা হুমকি তৈরি করবে, তা সময়েই বলে দেবে।
Leave a Reply