অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আরেকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাপান বলছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। আর প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হলে ‘কঠোর’ প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে। এদিন একটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে দেশটি।
এর আগে, গত রোববার কম্বোডিয়ায় বৈঠকে বসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এসময় সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন তিন দেশের সরকারপ্রধান।
উত্তর কোরিয়া গত দুই মাসে ৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যার বেশিরভাগই স্বল্পপাল্লার। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বেশ বিরল এবং যুক্তরাষ্ট্র এটিকে নিজেদের জন্য সরাসরি হুমকি বলে মনে করে। কারণ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মার্কিন মূল ভূখণ্ডের যেকোনো স্থানে পারমাণবিক হামলা চালানোর মতো করে তৈরি করা হয়েছে।
সবশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি (আইসিবিএম) উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে নিক্ষেপ করা হয় বলে জানিয়েছে সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬ হাজার ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং মাক ২২ (শব্দের চেয়ে ২২ গুণ দ্রুত) গতিতে এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। শেষপর্যন্ত জাপানের হোক্কাইদো অঞ্চলের ওশিমা-ওশিমা দ্বীপ থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে আছড়ে পড়ে এটি।
তবে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটির যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর সক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, এবারের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লার সক্ষমতা ১৫ হাজার কিলোমিটার হতে পারে, তবে তা নির্ভর করবে ওয়ারহেডের ওজনের ওপর। আর যদি সেটি হয়, তার মানে এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, (পিয়ংইয়ংকে) বলেছি, আমরা এই ধরনের কর্মকাণ্ড একেবারেই সহ্য করতে পারি না।
শুক্রবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এটি নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলবে যুক্তরাষ্ট্র।
Leave a Reply