অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার অব্যাহত গোলা হামলা থেকে বাঁচতে সোমবার কয়েকশ’ ইউক্রেনীয় খেরসন শহর ছেড়ে গেছেন। রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করে নিলে দুই সপ্তাহ আগে শহরটি পুনরায় দখলে নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। খেরসন বিজয়ের উদ্যাপনে মাতে ইউক্রেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার বলেছেন, হাতে যতক্ষণ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, রাশিয়া থামবে না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
রাশিয়ার দখল থেকে খেরসন মুক্ত করা চলমান যুদ্ধে কিয়েভের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। রুশ বাহিনী নিপ্রো নদীর পূর্ব পাড়ে সরে গেলে শহরটি পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নেয় ইউক্রেন। রুশ বাহিনী শহরটি ছেড়ে যাওয়ার আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করে দিয়ে যায়। এরপর থেকে পানি ও বিদ্যুতের অভাবে বাসিন্দাদের সেখানে বসবাস করা কঠিন হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র শীতের মধ্যে তারা ঘর গরম করতে পারছেন না। খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর গত বৃহস্পতিবার সেখানে দেশের পতাকা ওড়ান ইউক্রেনের এক সেনা।
যুদ্ধে জ্বালানি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ইউক্রেনের তীব্র শীত সহ্য করা বাসিন্দাদের জন্য খুবই কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ আশঙ্কায় গত সপ্তাহে খেরসন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। রাশিয়ার গোলা হামলার কারণেও অনেকে শহর ছেড়ে যাচ্ছেন। ৯ নভেম্বর রুশ বাহিনী শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর অব্যাহত গোলা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমরা বুঝতে পারছি রাশিয়া নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে। আমরা এটি নিশ্চিতভাবে জানি। দুর্ভাগ্যবশত তাদের কাছে যতক্ষণ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, তারা থামবে না। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পেছনের সপ্তাহের মতো সামনের সপ্তাহগুলো ইউক্রেনের মানুষের জন্য কঠিন হবে। কারণ রুশ সেনাদের হামলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য জ্বালানি স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলোচনায় বসার আহ্বান বেলারুশের ॥ ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে বেলারুশ। সোমবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এমন আহ্বান জানিয়েছেন। কিয়েভের দিক থেকে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই এমন আলোচনার তাগিদ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য পূর্বশর্ত রেখে কিয়েভ ভুল করছে।
এ ধরনের পূর্বশর্ত আলোচনার জন্য সহায়ক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনীয়দের ভুল হলো তারা আলোচনা প্রক্রিয়ার সর্বোত্তম নীতি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে যখন জায়ান্ট রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। আপনি আগে থেকে শর্ত দিতে পারেন না। তিনি বলেন, আলোচনার টেবিলে বসুন এবং সেখানে যাবতীয় শর্ত তুলে ধরুন। দ্বিতীয় নীতিটি হলো সর্বোৎকৃষ্ট আপোস।
Leave a Reply