অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার দুই বিমানঘাঁটিতে সোমবারের বিস্ফোরণের পর দেশটির তৃতীয় আরেকটি বিমানঘাঁটিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত রুশ শহর কুরস্কের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার একটি বিমানঘাঁটির ওপর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীর ছবি প্রকাশ করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
স্থানীয় গভর্নর রোমান স্টারভয়েট বলেছেন, সেখানে একটি তেল স্টোরেজ ট্যাংকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হামলার পর জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সমর্থ হয়েছে।
ইউক্রেনের তরফে এ ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করা হয়নি। তবে দৃশ্যত এমন খবর উদযাপন করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, রাশিয়া যদি ঘটনাগুলোকে ইচ্ছাকৃত হামলা হিসেবে বিবেচনা করে, তবে এটি হবে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা।
কুরস্ক শহরের এই বিমানবন্দরটি বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি রুশ বাহিনীও বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে থাকে। মঙ্গলবারের ঘটনায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের হাতে আসা বিভিন্ন ভিডিওতেও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। তবে স্বতন্ত্রভাবে এসব ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার দেশটির দুই সামরিক ঘাঁটিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো আসলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফেও এ ঘটনায় কিয়েভকে দায়ী করা হয়েছে।
জল্পনা রয়েছে, কিয়েভ এক ধরনের বিশেষ অ্যাটাক ড্রোন উদ্ভাবন করেছে যেটি এক হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারে। গত নভেম্বরের শেষ দিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যেই এটি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। যদি এই দাবি সঠিক হয় তাহলে রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশ কিয়েভের নিশানার আওতায় রয়েছে।
Leave a Reply