প্রাথমিক প্রতিবেদনে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি, এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ম্যাচ সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খেলা চলাকালে আচমকাই আসন থেকে নিচে পড়ে যান গ্রান্ট। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
গত মাসে সমকামীদের সমর্থনে রংধনু টি-শার্ট পরায় তাকে মাঠে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল কাতার পুলিশ। যদিও পরে বিষয়টির সুরাহা হয়।
তিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের সাংবাদিক ছিলেন। এখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন এবং তার একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম বিশ্বকাপ খেলার খবর সংগ্রহ শুরু করেন। এ পর্যন্ত আটটি বিশ্বকাপের সংবাদ কাভার করেছেন।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে।
টুইটার বার্তায় ওয়াহলের স্ত্রী জানান, হঠাৎ তার মৃত্যুর খবরে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন।
ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো বলেছেন ফুটবলের প্রতি ওয়াহলের ভালোবাসা ছিল ‘অতুলনীয়’। তিনি বলেন, যারা বিশ্বব্যাপী খেলা দেখেন তারা সবাই তাকে খুব মিস করবেন।
বিশ্বকাপের কাতারি সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন ‘মার্কিন সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহলের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ তিনি জানান, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি যাতে পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ ফেরত পাঠানো যায়।’
Leave a Reply