অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজধানীর পল্টন থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ বলেন, ‘শুনানিতে সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন। শুনানি শেষে আদালত বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ মোট ২২৪ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।’
এর আগে রবিবার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা স্পেশাল জামিন আবেদন করেন। এরপর শুনানি শেষে সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
মির্জা ফখরুল-আব্বাস ছাড়া উল্লেখযোগ্য পাঁচ বিএনপি নেতার মধ্যে আছেন—ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আ. ছালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক এমপি মো. ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন ও সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পর ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরদিন দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ওইদিন বিকালে মির্জা ফখরুল আর আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পল্টন থানার পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তবে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা করেন সেটির এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
অন্যদিকে সংঘর্ষের দিনে নয়াপল্টন থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও আবদুস সালামকে আটক করা হয়।
Leave a Reply