অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে জয় পেতে ভোটারদের ১২ মণ দুধ খাইয়েছিলেন গাভী প্রতীকের প্রার্থী মাহাবুর রহমান। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে তৃতীয় হয়েছেন তিনি। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৫৪। বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন ৮১৫ ভোট।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের কাছে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন জানিয়েছেন সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহাবুর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে ৮১৫ ভোট পেয়ে হরিণ প্রতীক নিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তলোয়ার প্রতীক নিয়ে খন্দকার নয়ন উদ্দিন পেয়েছেন ৭০১ ভোট।
৫৫৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন ১২ মণ দুধ খাওয়ানো গাভী প্রতীকের প্রার্থী মাহাবুর রহমান। অন্য দুই প্রার্থী সিংহ প্রতীক নিয়ে সহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪৯ এবং প্রজাপতি প্রতীকে আলমঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ১১৬ ভোট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহাবুর রহমান বলেন, চার হাজার ৭৬৭ ভোটারের মধ্যে তিন হাজার ৮৩৯ জন ভোট দিয়েছেন। কিন্তু সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে দুই হাজার ৩৭৫টি ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। আর এক হাজার ১০৪ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে। এটা অসম্ভব। এছাড়া ব্যালট পেপারে আমার গাভী প্রতীক কালো হওয়ায় অনেক সিল নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের চোখ এড়িয়ে গেছে। তাই পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেছি।
দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমি গাভী প্রতীক নিয়েছিলাম, তাই শীতে ভোটের দিন ভোটাররা আমার কাছে দুধ খেতে চেয়েছিলেন। আমি রাজি হয়েছিলাম। আমি দুধ খাইয়েছিও। ভোটাররা দুধ খেয়ে ভোট দিতে গিয়ে যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়েছে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
‘১২ মণ দুধ খাইয়েছি। ভোটাররা এক পোয়া করে দুধ খেয়ে যদি একটা করে ভোট আমাকে দিতো তাহলে আমি এক হাজার ৯২০টি ভোট পেতাম এবং জিতে যেতাম। গরম দুধ খেয়ে ঠান্ডা মাথায় ভোটাররা ভোট দিয়েছে। এক পোয়া দুধেও আমার ভাগ্যে একটি করে ভোট মেলেনি।’ যোগ করেন মাহাবুর।
পুনরায় ভোট গণনার আবেদনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আজগার আলী জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Leave a Reply