অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : স্বামী ইব্রাহিম মিয়া মারা গেছেন দেড় বছর আগে, দুই ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন, একমাত্র মেয়ে মিম আক্তারকে নিয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটাছিল মা পারভীন আক্তারের। মেয়ের দীর্ঘ ৩ বছরের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন মা ও মানসিক ভারসাম্যহীন সেই মেয়ে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৪টার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ধার-দেনা করে একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা পারভীন আক্তার। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও মেয়ে মিম আক্তার সুস্থ্য হয়ে না উঠায় শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে প্রথমে মেয়ে মিম আক্তারকে জোরপূর্বক বিষ খাওয়ায়। পরে মা পারভীন আক্তার বিষপান করেন।
এসময় মেয়ে মিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় রায়পুর নামক স্থানে মা পারভীন আক্তার মৃত্যুবরণ করেন।
পরে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মেয়ে মিম আক্তারও মৃত্যুবরণ করেন।
পারভীন আক্তারের বড় ছেলে শাহপরানের স্ত্রী বলেন, প্রতিদিনের মতো পরিবারের সবাই রাতে খাবার খেয়ে আমরা ঘুমাতে যাই। পরে ভোর ৪টার দিকে আমার ননদ মিমের চিৎকারে ঘুম ভাঙলে দৌড়ে গিয়ে দেখি তারা দুজনে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছেন।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply