অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এই প্রথম ইউক্রেনকে আধুনিক ট্যাঙ্ক পাঠাবে ফ্রান্স। অন্যদিকে রাশিয়ার সাবেক মন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্টকে খামে করে গোলার স্প্লিনটার পাঠিয়েছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইট করে জানিয়েছেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্রুত ‘এএমএক্স-১০’ যুদ্ধের ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠানোর কথা বলেছেন।
অত্যাধুনিক এই ট্যাঙ্কে চারজন সেনা একসঙ্গে বসতে পারেন। লাইট ট্যাঙ্ক বিভাগের এই যুদ্ধযান দ্রুত চলতে পারে। ফ্রান্স এই যুদ্ধযান ইউক্রেনকে পাঠানোর কথা বললেও তা কবে এবং কীভাবে পাঠানো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
কতগুলো ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে তাও অস্পষ্ট। জেলেনস্কিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এর আগে ইউক্রেনকে হাউইৎজার মিসাইল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মতো অস্ত্র দিয়েছিল ফ্রান্স। তবে এই প্রথম ট্যাঙ্কের মতো যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার কথা জানালো তারা।
রাশিয়ার সাবেক ডেপুটি মন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে নিজেই টেলিগ্রামে লিখেছেন। সেখানে একটি শারপনেলের টুকরো আছে।
দিমিত্রি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে পূর্ব ইউক্রেনের দনেৎস্কে একটি হোটেলে বসে তারা কথা বলেছিলেন। আচমকাই একটি বিস্ফোরণ হয় এবং একটি শার্পনেল তার শরীরে এসে লাগে। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই শার্পনেলটি ফ্রান্সে তৈরি বলে জানিয়েছেন দিমিত্রি।
সে কারণেই সেটি একটি খামে ভরে একটি চিঠিসহ তা ফরাসি প্রেসিডেন্টকে তিনি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিমিত্রি। ফ্রান্স কীভাবে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে এই হলো তার প্রমাণ।
সম্প্রতি পর্তুগালে গেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে। রাশিয়া এখনো ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। শত অনুরোধ সত্ত্বেও রাশিয়া আক্রমণ বন্ধ করছে না।
ফলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা জার্মানির অন্যতম কর্তব্য। বেয়ারবক গ্রিন পার্টির সদস্য। যুদ্ধের শুরুতে তারা ইউক্রেনকে সরাসরি অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার সমর্থক ছিল না। কিন্তু যুদ্ধ যত এগিয়েছে, তারা অস্ত্র সরবরাহে সমর্থন জানিয়েছে।
Leave a Reply