26 Nov 2024, 12:32 am

উন্নত রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বেশকিছু খাতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশের উন্নয়নে দৃঢ় সহায়তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এ দেশের প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম হিসেবে এই যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বিশ্বব্যাংক। আগামীতে উন্নত রাষ্ট্র গড়তে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে। শুধু তাই নয়, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক এখন নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, আমাদের পরবর্তী টার্গেট ২০৩১ সালে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হবে। এ ছাড়া ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এ যাত্রায় বিশ্বব্যাংককে পাশে চায় বর্তমান সরকার। ররিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব  উদযাপন অনুষ্ঠানে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য নিয়ে মূল্যায়ন করছে আর্থিক খাতের অন্যতম আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্য এবার বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানটি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।  তিনটি সেশনে ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়। মূল পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-(এমডি অপারেশন) অ্যাক্সেল ভ্যান টোর্টসেনবার্গ,  বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লাহে সেক, বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব শরীফা খান বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র  তুলে ধরেন।

এ নিয়ে একটি আলোচকচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণ বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা রয়েছে। এই অস্থিরতা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। সংকট উত্তরণে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রপ্তানি, আর্থিক খাত, ম্যাক্রো ইকোনোমি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও ভোকেশনাল ট্রেনিংমুখী শিক্ষায় জোর দিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তাখাতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন। রপ্তানিুমখী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ সঙ্কট মোকাবিলা করেই অগ্রগতি অর্জন করছে। রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার রোহিঙ্গারা। তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ মিয়ানমারেরই। তবে যতদিন তারা এ দেশে রয়েছে তাদের ব্যাপারে যে ধরনের সহায়তা বিশ্বব্যাংক দিয়েছে সেটা অব্যাহত রাখা হবে। অনুষ্ঠানে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার সঙ্কট, ডলার রেট, বাংকসুদ, ট্যাক্স জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, বাংলাদেশের রিজার্ভ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বাজেট সহায়তা, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটি এখন নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এ যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে বিশ্বব্যাক গর্বিত। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখছি যে, উন্নয়ন কীভাবে কাজ করে।

তিনি বলেন, বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি। এ ছাড়া তিনি আলোচনার শেষ পর্বে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগেই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্যপদ অর্জন করে। এর পর থেকে এ দেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। ৫০ বছরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন নতুন মাইলফলকে পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ অচিন্ত্যনীয় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে। কোভিড-১৯, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জের সময়ে আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত পাঁচ দশকের অসাধারণ যাত্রায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অবিচল অংশীদার ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রমে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) আওতায় অনুদান, সুদবিহীন ঋণ এবং নমনীয় ঋণ হিসেবে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমান ৫৩টি চলমান প্রকল্পে প্রায় ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্ববৃহৎ আইডিএ কর্মসূচির বাস্তবায়ন চলছে এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন,  স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। ১৯৭২ সালে জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন, বর্তমানে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আমাদের দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ২০ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে। গড় আয়ু বেড়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক অনেক সহায়তা করছে। তবে আমাদের পরবর্তী টার্গেট ২০৩১ সালে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া। জিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ শুরু করা হয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭৪ গুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, আগামীর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংককে পাশে চায় বাংলাদেশ।  উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা দিবে বিশ্ব ব্যাংক। এছাড়া বিদ্যুৎ-জ্বালানি, শিক্ষা, চিকিৎসা, মন্দা মোকাবেলা, ঢাকা সবুজায়ন ও জলবাযু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় নতুন করে ঋণ সহায়তা  দেবে সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের সহজ শর্তের ঋণ সহায়তার বিষয়টিও নিয়েও ফের আলোচনা করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের মতে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে চমকপ্রদ উন্নতি করেছে। মহামারি করোনা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, সবাইকে বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো চলমান সঙ্কট সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও এই সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির  কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়া, ডলার সংকটের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মো উন্নত রাষ্ট্র গড়তে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে। চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করে অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় রয়েছে বলে মনে করে বিশ্ব ব্যাংক। শুধু তাই নয় ধারাবাহিকভাবে ভালো জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় সামাজিক সূচকেও উন্নতি করেছে বাংলাদেশ।  বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য হওয়ার পরও থেকেই বাংলাদেশে সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিয়ে আসছে।

বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতের অবকাঠামোতে সংস্থাটির ঋণ অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দেশের আত্ম মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে যায় বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটির এই অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হওয়ার পর বিশ্ব ব্যাংক সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয় বিশ্বে। সেই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠে এবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বিশ্বব্যাংক। যদিও পদ্মা সেতু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান বিশ্বব্যাংকের এমডি। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ কমলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা বাড়ে। এ কারণে শিক্ষায় বিনিয়োগে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। শিক্ষা সব দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। ভোকেশনাল, প্রুাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ কমলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা বাড়ে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক কাজ করবে। তিনি বলেন, উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। তবে বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দারিদ্র্য।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন অন্যতম সমস্যা। বিশেষ করে হাওর ও উপকূল এলাকায় বেশি। এসব এলাকায় বড় বিনিয়োগ দরকার। বছরে প্রবৃদ্ধির আড়াই থেকে তিন শতাংশ দরকার বিনিয়োগ। জলবায়ুর কারণে ক্লাইমেট রিফুজি সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আর্থিকখাতের সংস্কার প্রয়োজন। ব্যাংক সুদের হার কি রকম হওয়া উচিত এটা নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। ডলার সঙ্কট একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটার এক্সচেঞ্জ রেট কি হবে সেটা ঠিক করতে হবে। প্যানেল আলোচনায় নিহাদ কবির বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ যাতে বাড়ে সেই উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এ ছাড়া পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা  অব্যাহত থাকবে ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন্স) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ আগামীতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিকাশে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
রবিবার আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘সেলিব্রেটিং ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ব্যাংক  পার্টনারশীপ’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন আশ্বাস দেন তিনি। সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্লান’ প্রণয়ন করেছি। এ মাস্টারপ্লান অনুসারে আমরা এর চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি এর আলোকে ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে ট্রটসেনবার্গ বলেন, অতীতের মতোই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি স্টার্টআপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তরুণদের মেধাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ আলাদা পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনকালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ পরিকল্পনায় আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ কোম্পানি গড়ে তোলা হবে বলে জানান।
সভায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, আবাসিক প্রতিনিধি (এসএসিবিবি) আবদেললাহি সেক, প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাটগি এবং ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 13887
  • Total Visits: 1311652
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২৩শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ১২:৩২

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018