অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুর চেরাগ নিয়ে বিস্মিত পাকিস্তানের সংসদ সদস্যরাও। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বল্প দিনেই বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে এখন বিদেশের গোলটেবিলে আলোচনা হয়, প্রশংসা হয়।
শুক্রবার (৩ ফেব্রয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ এর দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুগ্ধ। পাকিস্তানি সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথোপকথনরত অবস্থায় এ প্রশ্নের সম্মুখীন হন মন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদুর চেরাগ আছে কিনা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতির কারণও জানতে চান পাকিস্তানের সেই সংসদ সদস্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে বিদেশে আলোচনা হয়। আমি যে দেশেই যাই, সেখানেই বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়। আমাদের কাছে তারা জানতে চায়, আমরা কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে এগিয়ে গেলাম।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে করোনা মহামারি এলো। আমাদের এ অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তে আমরা এ মহামারিকে মোকাবিলা করতে পেরেছি। বিশ্বের কাছে সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।
সারা পৃথিবীর হিসাব যদি করা হয় তাহলে আমরা পাঁচ নম্বরে। আগের চারটি দেশের কোনোটিরই দেশের জনসংখ্যা এক কোটির বেশি হবে না। আমরা খুবই সাফল্যের সঙ্গে এটা করতে পেরেছি। এখন বিদেশিরা এটা নিয়ে আমাদের খুব বাহবা দিচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আমি সবখানেই এসব প্রশংসা শুনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সবাই এই দেশের মানুষ এবং দেশটা আমাদের সকলের। সকলেই দেশের ভালো চাই। রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে কিন্তু দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা স্বীকার করতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, এখান থেকে পড়াশোনা করে অনেক শিক্ষার্থীই দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ, আমাদের মধ্যে দ্বিমত থাকতে পারে, বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দেশটা তো আমাদের সবার। দেশের উন্নয়নে, ভালোর জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের সময় এখন শেষ, আর বেশি দিন টিকব বলে মনে হয় না। এখন দেশের দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সারা দুনিয়ায় অ্যালামনাইরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে অবদান রাখে। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর সেই কথা অনুযায়ী, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনারা আমাদের একাডেমিকভাবেও দিকনির্দেশনা দিবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এ সুন্দর আয়োজন আমাদের উজ্জীবিত করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেহেতু হল নেই, আমি আশাকরি অ্যালামনাই ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এমবিএ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের প্রতি আমাদের শিক্ষার্থীদের সম্মান দেখলে আমি আপ্লুত হয়ে যায়।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তারা বিশ্বকাপ ফুটবল কাপ প্রদর্শনীতে স্পন্সর করেছে। তাছাড়াও বিভিন্ন মানবিক ও সমাজ সেবামূলক কাজের মাধ্যমে মানুষের পাশে থেকেছে। ভবিষ্যতেও যেন তারা মানুষের পাশে থাকে এ প্রত্যাশা করি।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম পল্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেডের ডিরেক্টর শেখ মো. আজহার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. ফারুক বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ক্রেস্ট, বিশেষ স্মরণিকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকদেরও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও অ্যালামনাই এর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply