জাফিরুল ইসলাম : পুকুর পাড়ের পতিত জমিতে মিশ্র ফল চাষ করে সফল হয়েছেন ঝিনাইদহের কৃষি উদ্যোক্তা কবির হোসেন। মাছ চাষের পাশাপাশি করছেন চায়না, দার্জিলিং কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, ড্রাগন ও পেপের চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাগুলোতেও বাজারজাত করা হচ্ছে। পতিত জমিতে এমন মিশ্র ফল চাষে কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ।
ঝিনাইদহের কোটচাদপুর কলেজ পাড়ার কৃষি উদ্যোক্তা কবীর হোসেন মহেশপুর উপজেলার তৈলটুপি মৌজায় মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ের পতিত জমিতে করেছেন মিশ্র ফল চাষ। বাগানে গেলে দেখা মেলে সারি সারি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে সবুজ ও হলুদ রংয়ের কমলা ও মাল্টা। কাঁচা অবস্থায় গাঢ় সবুজ ও পেকে ধারণ করেছে গাঢ় হলুদ রং। শীত মৌসুমে গাছভর্তি এমন ফল বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে তার স্বপ্ন যেনো দোল খাচ্ছে। পুকুর পাড়ে মিশ্র ফলের আবাদ করে নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন মানুষের। তার এমন ব্যতিক্রমি চাষে আগ্রহী হয়ে অনেক কৃষকই ঝুকছেন এমন চাষে।
কবীর হোসেন বলেন, পতিত জমি ফেলে না রেখে সেখানে মিশ্র ফলের আবাদ করলে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। অন্যদিকে জমিও পড়ে থাকবে না। এই চিন্তা থেকেই আমি পুকুর পাড়ে কমলা, মাল্টা, পেপেসহ বিভিন্ন ফলের আবাদ করছি। যা থেকে আমি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
বাগানের কর্মচারী রাজিব আহমেদ জানান, কবির ভাইয়ের মিশ্র ফলের বাগানে কাজ করে আমি মাসিক যে বেতন পাই তা দিয়ে আমার ভালোই চলে। শুধু আমি নই আমার মতো আরো ১০ জন এখানে কাজ করতে পেরে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে। কবির হোসেনের এমন আবাদ দেখে আরো অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, সরকার ঘোষনা দিয়েছে পতিত জমি ফেলে না রেখে চাষ করতে হবে। তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পতিত জমিতে চাষ করার জন্য উৎসাহের পাশাপাশি সব ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষনসহ সকল সহযোগীতা করা হচ্ছে।
কবীর হোসেনের লীজ নেওয়া জমিতে ১৬টি পুকুরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তার পুকুর পাড়ে রয়েছে সাড়ে ৭ শত মাল্টা , ২ হাজার ৫ শত ড্রাগন, ৫ শত পেপে, ৩ শত চায়না কমলা ও ১ শত দার্জিলিং কমলা গাছ।
Leave a Reply