অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রচণ্ড ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দামেস্ক।
সিরিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান খালেদ হাবুবাতি গতকাল (মঙ্গলবার) দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নীচে আটকে পড়া সম্ভাব্য জীবিত মানুষদের উদ্ধার করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি প্রয়োজন যা নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
সোমবার ভোররাতে রিখটারস্কেলে ৭.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্কে নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে যাদের মধ্যে শুধু সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।
হাবুবাতি বলেন, “ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য আমাদের ভারী যন্ত্রপাতি, অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নিনির্বাপণের যানবাহন প্রয়োজন। এজন্য অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জরুরি।” তিনি আরো বলেন, “নিহতের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে এবং বহু ভবন এখনও ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এক কথায় বিপর্যয়কর এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত থাকলেও আমাদের হাতে কোনো যন্ত্রপাতি নেই।”
সিরিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান জানান, দেশটির সরকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আলেপ্পোতে ১২৬টি, লাত্তাকিয়ায় ২৩টি, হামায় পাঁচটি, হোমসে তিনটি, এবং তারতুস তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। হাবুবাতি জানান, ভূমিকম্পের পর বহু দেশ সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠিয়েছে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি হয়েছে যে, প্রয়োজনের তুলনায় এসব ত্রাণ খুবই অপ্রতুল।
তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার জন্য ত্রাণ দানকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে তিনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সরাসরি আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান।
২০১১ সালে সিরিয়ায় পশ্চিমা মদদে ভয়াবহ দাঙ্গা ও সহিংসতা শুরু হওয়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ার পক্ষে জরুরি পণ্য আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দেশটির জনগণকে খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্যসামগ্রী, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবা পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।#
Leave a Reply