অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাতে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয় ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক। ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা এই সড়ক এখন জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের ফলে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়কে পাহাড়গুলো খাড়াভাবে কাটার কারণে গত দুই বর্ষায় মাঝারি বৃষ্টিপাতে কয়েকটি পাহাড় ধসে পড়ে সড়কের ওপর। এতে সড়কের এক পাশ কয়েক দফা বন্ধ করে রাখে সিডিএ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সড়কটি গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় নিয়ে সিডিএ-পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “পাহাড়ের মাটি কেটে গত তিন বছর ধরে এই রাস্তাটি করেছি। তারা ফিল্ডে ছিল কিন্তু কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। হঠাৎ করে মামলা করার ফলে পাহাড়ের পাদদেশের কাজগুলো করতে পারছিনা।”
এদিকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়কের আরও কিছু অসমাপ্ত কাজের জন্য ৩০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এজন্য সিডিএ সড়কটির ফৌজদারহাট প্রান্তে টোল প্লাজা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “আরও কয়েকটি ব্রিজ এর সঙ্গে সংযোগ করেছি। এসব কারণে প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ বেড়েছে। টোল নিয়ে রাস্তার ম্যান্টেনেজটা আমরা করবো এবং যে টাকাটা খরচ হবে সেটা টোলের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।”
ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবেশমুখ হিসেবে পরিচিত। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৪৩ হাজারের বেশি গাড়ি চলাচল করছে। তবে বর্ষা এলে সড়কটি পার হওয়ার সময় আতঙ্ক ভর করে। খাড়া পাহাড়গুলো ড্রেসিং করে সড়কটি নিরাপদ করা সময়ের দাবি।
Leave a Reply