December 4, 2025, 6:26 am
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ সরকারের জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছালো শ্রীলঙ্কায় ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির কোন সরকারি অনুমোদন নেই : বাণিজ্য উপদেষ্টা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘন্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ইসি ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, ; হাসপাতালে  নতুন ভর্তি ৪৯০ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ভারতের কারাগার থেকে ৩০ বাংলাদেশিকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করলো বিএসএফ ঝিনইদহের কালীগঞ্জে ১ হাজার ৪২০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর মুরাদ হত্যা মামলার আসামি বাগেরহাটে থেকে গ্রেপ্তার করলো র‌্যাব সামরিক পদক্ষেপ থামাতে আমেরিকা ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ লিও ১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন ট্রাম্প
এইমাত্রপাওয়াঃ

তিস্তায় আরও দুই খাল করবে ভারত ; বিপর্যয় সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খননের জন্য প্রায় ১ হাজার একর জমি দখল করেছে ভারতের বেঙ্গল (পশ্চিমবঙ্গ) সেচ বিভাগ। শুক্রবার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন।

কৃষি কাজে সেচের সুবিধা বাড়াতে তিস্তায় খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর ফলে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায় আরও বেশি খামারকে সেচের আওতায় আনা যাবে। কিন্তু এর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা উত্তরবঙ্গ থেকে প্রবাহিত হয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ তার উত্তরাঞ্চলে পানি সংকট নিরসনে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিদপ্তরে হস্তান্তর করেছে। এই জমি তিস্তার বাম তীরে দুটি খাল তৈরি করতে প্রশাসনকে সহায়তা করবে। জলঢাকা, জলপাইগুড়ি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আরেকটি নদীর পানিও সেচের জন্য খালের দিকে সরানো হবে।

অধিদপ্তরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ট্রেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ‘পরিকল্পনা অনুসারে, তিস্তা এবং জলঢাকা থেকে পানি তোলার জন্য কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন করা হবে। আরও ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তিস্তার বাম তীরে নির্মিত হবে।’

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, খালগুলি খনন করা হলে প্রায় এক লক্ষ কৃষক সেচের সুবিধা পাবেন। ব্যারেজটি জলপাইগুড়ি জেলার গাজলডোবায় অবস্থিত।

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি ১৯৭৫ সালে উত্তরবঙ্গের ৯ দশমিক ২২ লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে চালু করা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল তিস্তা থেকে নদীর উভয় তীরের খালের মাধ্যমে পানি পাঠানোর। পথে, খালগুলি এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অন্যান্য নদী দ্বারা খাওয়ানো হবে। তবে প্রকল্পটি কয়েক দশকে শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হয়েছে।

২০১১ সালে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা তিস্তার পানি বণ্টনের চুক্তিটি করতে পারেনি। একজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক উল্লেখ করেছেন, তিস্তা প্রকল্পের আওতা বাড়িয়ে মমতা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে উত্তর বাংলায় নদীর পানি দরকার।

শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের একজন ফ্যাকাল্টি বলেছেন, ‘এখন যখন তার সরকার সেচ নেটওয়ার্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, এটা স্পষ্ট যে তিস্তা থেকে আরও বেশি পানি নতুন খালের মাধ্যমে প্রবাহিত হবে। এর মানে হল খড়ার মৌসুমে বাংলাদেশ কম পানি পাবে।’

গ্রীষ্মের মাসগুলিতে তিস্তায় প্রায় ১০০ কিউমেক (কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ড) পানি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও বাংলাদেশে কৃষি জমিতে সেচের জন্য প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিউমেক পানি প্রয়োজন।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page