অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : স্কুলের ভবনের ছাদে ফাটল। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। আতঙ্কে কমে গেছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি। নাটোরের সিংড়ার দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
১৯২৬ সালে স্থাপিত হয় সিংড়ার দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে ৪৫২ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এই স্কুলে। ১৯৯৫ সালে স্কুলে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ভবনেটির ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল।
কখন ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে এই আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের মন বসেনা ক্লাসে। ভয়ে কেউ কেউ আসে না স্কুলে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাদ ফাঁটা, ক্লাস করতে ভয় লাগে। ওই দেয়ালটা আমার উপর নয় তো সবার উপর ভেঙে পড়ছে, ক্লাস করতে মন চায় না।
এছাড়া ১৯৭৬ সালে নির্মিত টিনের ছাউনি একটি ভবনের তিনটি কক্ষে টিন বা কাপড় টানিয়ে বিভাজন করে কোনোরকমে চলছে ক্লাস।
শিক্ষকরা জানান, একই রুমে পার্টিশন দিয়ে দুটি ক্লাস নিতে হচ্ছে। এখানে যদি বহুতলবিশিষ্ট ভবনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আমরা ভালোভাবে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা নতুন ভবন বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
অভিভাবকরা বলেন, “শিক্ষার পাঠদান ভালো, পরিবেশটা ভালো আমরা চাই এখানে ভালো একটি ভবন হোক।
দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম বলেন, “৭টি শ্রেণীকক্ষে পার্টিশন দিয়ে এখানে ১১টি ক্লাস পরিচালিত হয়। পরিমিত আসন সংখ্যা না থাকার কারণে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ই সাবলীল থাকতে পারছে না।”
নতুন শ্রেণিভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিংড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফ বলেন, “পুরাতন যে ভবনটি আছে এখনও সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবুও ছাত্রছাত্রীকে নিরাপদে রেখে পাঠদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
দ্রুত স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
Leave a Reply