অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঈদকে সামনে রেখে প্রিয়জনের টানে ছুটছে মানুষ। মুন্সীগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৪ জেলার মানুষ। তবে এই পথে এবারের ঈদযাত্রা একেবারেই নির্বিঘ্ন। তেমন কোনো বিড়ম্বনার অভিযোগ নেই ঘরমুখো মানুষের। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মোটরসাইকেল টোল দিয়ে পারাপার হয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু দিয়ে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
শুক্রবার সকালেও থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজায় মোটরসাইকেলের চাপ দেখা গেছে। যথাযথ নির্দেশনা মেনে নিবিঘ্নে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন চালকরা।
মোটরসাইকেল চালক নুরুল আমিন বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঈদে খুলনায় বাড়িতে যাচ্ছি। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার রামপুরা থেকে রওনা দিয়েছি। পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় এসেছি সকাল ৭টার দিকে। প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি, মোটরসাইকেলের অনেক চাপ ছিলো। তারপরও অনেক ভালো প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ঈদের আগেই আমাদের ঈদের উপহার হিসেবে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারের অনুমতি দিয়েছেন।
এছাড়া গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন দিয়েও গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছে মানুষ।
পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মোটরসাইকেল টোল দিয়ে পারাপার হয়েছে। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু দিয়ে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এখন টোল প্লাজায় তেমন মোটরসাইকেল ও গণপরিবহন নেই। গাড়ি আসলেই সঙ্গে সঙ্গে টোল দিয়ে সেতু পার হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের তেমন চাপ নেই বলে জানা গেছে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছে ঘরমুখো মানুষ।
Leave a Reply