অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৭ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার সকালে ধান কাটতে গিয়ে চার উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বজ্রপাতে মারা যান তারা।
এর মধ্যে সুনামগঞ্জে উপজেলার ছাতকে তিন জন, তাহিরপুর উপজেলায় একজন, দোয়ারাবাজারে দুই জন ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় একজন মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার একটি হাওরে সকালে ধান কাটতে গেলে বজ্রপাতে তিন কৃষক গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের হোসাম মিয়ার ছেলে মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬০) ও চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুর্লভ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৫)।
সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারা সার্কেল) রঞ্জয় চন্দ্র মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় একই সময়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার চৌদ্দকুড়ি হাওর ও কালাদেউরা হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আরও দুই কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। নিহত কৃষকরা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি গ্রামের কৃষক তারা মিয়া ও মিলন মিয়া।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সকালে তাহিরপুরে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রমজান মিয়া নামের আরেক কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। এ সময় আরেক কৃষক আহত হন। নিহত কৃষক রমজান মিয়া (১৬) উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন কুকুরকান্দি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার জানান, গোলাঘাট হাওরে ধান কাটতে গিয়ে কিশোর রমজান বজ্রপাতে মারা যায়। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রোববার সকাল ১১টার দিকে বজ্রপাতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার মোহাম্মদপুর এলাকায় আনছার আলী (৭০) নামে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জমিতে ধান কাটতে যান আনছার আলী। বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলম।
Leave a Reply