অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা হাটে গরু বিক্রি করে দৌলতদিয়ায় ফিরছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। পথে পদ্মা নদী পারাপারের সময় তাদের ট্রলারে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলা চালায় ডাকাতদল। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে নগদ ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৪২ টাকা এবং স্পিডবোট তল্লাশি করে চারটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, একটি কাটার, ছয়টি ছেনি ও নয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মহসিন সরকার (৩০), তাজুল ইসলাম (৩০), সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাহিন বেপারী (৩৫), মেহেদী (২৫), সিহাব (২২) ও এবাদুল বেপারী (৪০)।
বুধবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজা কনকর্ড বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নৌ পুলিশ প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ও স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্পিডবোটে দ্রুত পালানোর সময় তাদের ধাওয়া করে নৌ পুলিশ। তখনই খবরটি ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর অঞ্চলের বিভিন্ন নৌ থানা/ফাঁড়িকে জানালে ফরিদপুরের কোতোয়ালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ও চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ি যৌথভাবে অভিযানে অংশ নেয়।
তিনি বলেন, ডাকতরা ফরিদপুর অঞ্চলের পদ্মা সেতু পার হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন ডহুরীর খাল দিয়ে দিঘীরপাড় হয়ে চাঁদপুর অঞ্চলের মেঘনা নদীতে প্রবেশ করে। নৌ পুলিশের একাধিক দল ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করতে থাকে। একপর্যায়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানাধীন বাঘাইকান্দি গ্রামের খালে প্রবেশের সময় ডাকাতরা নৌ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও ডাকাতদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। নৌ পুলিশের চতুর্মুখী ধাওয়ায় ডাকাতদল মুন্সীগঞ্জের সদর থানাধীন বাঘাইকান্দি গ্রামের খালপাড়ে স্পিডবোট রেখে পালানোর চেষ্টা করলে নৌ পুলিশ, স্থানীয় গ্রামবাসী ও জেলা পুলিশের সহায়তায় ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, নৌপথ অপরাধমুক্ত রাখতে ও নৌপথের যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে নৌ পুলিশ কাজ করছে। নৌ পুলিশ গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডাকাতদলের লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করেছে।
Leave a Reply