30 Nov 2024, 06:27 pm

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে বসতভিটা ও কমিউনিটি ক্লিনিক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুড়িগ্রামে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র। প্রায় দেড় মাসের চেষ্টার পরও ব্রহ্মপুত্রের গ্রাস থেকে রক্ষা করা যায়নি কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ৩৬ বসতভিটা। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চিত্র এমনই।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, অব্যাহত ভাঙনে গত এক মাসে অন্তত ৩৬ পরিবারের বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে চলে গেছে। ভেঙেছে মসজিদ। ভাঙন হুমকিতে আছে আরও শতাধিক পরিবার। অব্যাহত ভাঙনে ইউনিয়নের চর ভগবতীপুরে স্থাপিত উপজেলা প্রশাসনের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নদের গ্রাসে বিলীনের অপেক্ষায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন না থামলে আরও বসতি নদের গর্ভে চলে যাবে। ভাঙনের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা ভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি নদের গর্ভে পতিত হওয়ার অপেক্ষায়। ক্লিনিকের পাকা ভবনটি নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হলেও আইনি জটিলতায় তা সম্পন্ন হয়নি।’

বসতভিটা হারানো পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করেছি। দুই-একদিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনে জমা দেওয়া হবে।’

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেড় মাস ধরে চেষ্টা করেও ভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি রক্ষা করা গেলো না। ক্লিনিকসহ স্থানটি রক্ষায় বালুভর্তি প্রায় চার হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। আবার কবে ওই চরের মানুষ ক্লিনিক ভবন পাবে তা বলা মুশকিল।’

ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু রাখার প্রশ্নে ডা. নজরুল বলেন, ‘আপাতত ক্লিনিক সাপোর্ট গ্রুপের সভাপতির বাড়িতে সব সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা সেখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।’

এদিকে, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নেও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ইউনিয়নের একের পর এক বসতি, স্থাপনা ও আবাদি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়ছে। তবে মাত্রা কম। চরাঞ্চলে কিছু ভাঙন রয়েছে। ভগবতীপুরে চরের ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ী কার্যক্রমের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে ওই মূল্যমানের স্থাপনা ও সম্পদ নেই।’

চলমান ভাঙন থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক ও বসতি রক্ষার উদ্যোগ প্রসঙ্গে এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘আমরা কিছু অস্থায়ী প্রতিরোধমূলক কাজ করেছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখি এখন কী অবস্থা।’

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 5368
  • Total Visits: 1352768
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২৮শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সন্ধ্যা ৬:২৭

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018