অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যানসার প্রতিরোধী ধান। ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন এ ধানের জাতের নাম ‘ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইস’। এ জাতের ধান চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আন্দোলপোতা গ্রামের চাষি আল-আমিন গাজী। নিজের ২০ শতক জমিতে এ বিদেশি জাতের ধান চাষ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে আল-আমিন গাজী জানান, হঠাৎ চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে বেকার সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। এরপর ইউটিউবে ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইস বা ঔষধি ধানের চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর বগুড়ার এক কৃষকের নিকট থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে ২ কেজি ঔষধি ধানের বীজ কিনে নিজের ২০ শতক জমিতে রোপণ করেন তিনি।
আল-আমিন গাজী বলেন, এ কালো ধানের চালে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ চালের ভাত শরীরে গ্লুকোজ তৈরি করে খুব ধীর গতিতে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য এ চালকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব কার্যকর চাল বলা হয়ে থাকে। আমিষ, ভিটামিন, জিংক, খনিজ পদার্থসহ অন্য উপাদানগুলো সাধারণ চালের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইস চাষে সাধারণত অন্যান্য ধানের মতো ইউরিয়া, পটাশ ও ব্যাট সার প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া সেচ খরচ ও অন্যান্য খরচসহ প্রায় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। এ ধানের চাল বিভিন্ন সুপার শপে কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া খুচরা বাজারে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন জাতের ঔষধি গুণসম্পন্ন এই ব্ল্যাক রাইস ধান চাষের বিষয়টি জানা গেছে। চাষির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জমিটি পরিদর্শনের পর ফলন ও সার্বিক বিষয়ে জানানো যাবে।
Leave a Reply