মোঃ শহিদুল ইসলাম : ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভাধীন পশুহাসপাতাল পাড়ায় আপন বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলনের দলিলমূলে পাওয়া সাড়ে ১৭ শতক জমির উপর থাকা ৮০টি মেহগুনী গাছ জোর পুর্বক কেটে বিক্রি করে দিয়েছে ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমন। এঘটনায় বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলন বাদী হয়ে ছোট ভাই লিমন ও গাছ কর্তনকারি ব্যাপারীসহ তিন জনের নাম উল্লেখ মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মহেশপুর পৌরসভাধীন পশুহাসপাতাল পাড়ায় বসবাস কারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাহার দুই ছেলের নামে রেজিষ্ট্রী করে দেওয়া মহেশপুর পৌরসভাধীন হামিদপুর মৌজার আর এস ১৯৩৯ খতিয়ানের হাল ১০৮৮ নং দাগের ৩৫ শতক জমির মধ্যে হুমায়ন কবীর মিলন অর্ধেক সাড়ে ১৭ শতক নামীও জমির মালিক হয়ে দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত মেহগুনী গাছ লাগিয়ে পরিচর্চা করে আসছিল। গত সপ্তাহে বড় ভাইয়ের অজান্তে ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমন তার নিজ অংশের গাছসহ বড় ভাইয়ের নামীয় সাড়ে ১৭ শতক জমিতে থাকা ৮০টি মেহগুনি গাছ জোর পুর্বক কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য ১০/১৫ লক্ষ টাকা।
বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলন আরো জানান, গত ১৯ মাস আগে মা মারা গিয়াছে, আর সেই থেকে আমার ক্ষতি সাধনের জন্য ছোট ভাই লিমন বাবাকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত করে বাবার সমস্ত সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার লক্ষে আমার ও আমার স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াসহ একের পর এক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। যা অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক ব্যক্তিদয় কয়েক দফায় সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ রয়েছে।
এঘটনায় গত ১৪ই জুন বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলন বাদী হয়ে ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমন ও খালিশপুরের কাঠ ব্যবসায়ী আবু কালামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গাছগুলো জব্দ করতে না পারলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলকার মানুষের মুখে নিন্দা সহ মুখরোচক গল্পের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মিলন তার জীবনের নিরাপত্তা ও বিচারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। অপর দিকে গাছ বিক্রেতা ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমনের দেখা না পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply