এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : জামালপুরের সাহসী সাংবাদিক মানবজমিন ও একাত্তর টিভির প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদে শনিবার ঝিনাইদহের সকল সাংবাদিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের আয়োজনে ঝিনাইদহ জেলা রিপোটার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ এসব কর্মসুচিতে অংশ গ্রহনে করেন। দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে ঝিনাইদহে কর্মরত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সমবেত হতে থাকে। এরপর সাংবাদিকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচিতে মিলিত হয়।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, সাধারন সম্পাদক শাহিদুর রহমান সন্টু, প্রচার সম্পাদক এস এম রবি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, সিনিয়র সাংবাদিক বিমল কুমার সাহা, আসিফ কাজল, আসিফ ইকবাল মাখন, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান, সাংবাদিক শামিমুল ইসলাম শামীম, সাদ্দাম হোসেন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিহঙ্গের শাহিনুর আলম লিটন প্রমুখ বক্তব্য।
কর্মসুচতে শাতাধীক সাংবাদিক ঘন্টাব্যাপী ঝিনাইদহ পোষ্ট অফিস মোড়ে অবস্থান করেন। এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে কোন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। বরং সাংবাদিকরা যতদিন রাজপথে থাকে ততদিন প্রশাসন সরব থাকে। সাংবাদিকরা নীরব হলে প্রশাসনও তৎপরতায় নীরব হয়ে যায়। ফলে জামালপুরের সাহসী সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার কুশিলবরা গ্রেফতার হলেও তাদের বিচার হবে কিনা সন্দেহ আছে। দেশে সাগর রুনি হত্যার বিচার হয়নি, খুলনার একাধিক সাংবাদিক হত্যার বিচার ঝুলে আছে ও যশোরর সাংবাদিক শামসুর রহমান কেবল হত্যার বিচার হয়নি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারহীনতা দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিক সমাজ হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার না হলে কলমের পাশাপাশি এবার লাঠি হাতে নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে সাংবাদিকরা।
Leave a Reply