অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহায় মধ্যবিত্তদের অনেকেই কোরবানি দিতে পারেন না। তারা ঈদ উপলক্ষ্যে বাজার থেকে মাংস ক্রয় করেন। মধ্যবিত্তদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঈদের আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করছেন। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করায় পাঁচ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার( ২৮ জুন) দুপুরে উপজেলার সখিপুর বাজারে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, পক্স রোগে আক্রান্ত গরুর মাংস বাজারের তিনটি দোকানে বিক্রি করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সখিপুর থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রত্যেক মাংস ব্যবসায়ীকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাফিজ নাদিম।
অভিযুক্তরা হলেন- মিলন সরদার (২৮), শাহ আলম তপাদার (৩৮), শাহ আলম সরদার (৪৪), ওবায়দুল ইসলাম (৩৫) ও নুর আলম তপদার (৩৪)। তারা সবাই সখিপুর বাজারের মাংস ব্যবসায়ী।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. হাসান ইবনে আমিন বলেন, পক্সে আক্রান্ত গরুর মাংস ভালো করে রান্না করে খেলে মানবদেহের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে ভালো করে রান্না না করলে পেট খারাপসহ পাকস্থলীর হজম শক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, সখিপুর বাজারের তিনটি দোকানে পক্সে আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ পেয়ে সখিপুর থানা পুলিশ পাঁচজকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে তাদের প্রত্যেককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ১ মণ মাংস জব্দ করে তা মাটি চাপা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অসুস্থ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ যদি অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করার চেষ্টা করে তাহলে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা বাজার মনিটর করছি। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশি দামে বিক্রি করলেও জরিমানা করছি।
Leave a Reply