অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভার হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গত নির্বাচনগুলো দেশের মানুষের এবং সারা বিশ্বের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। সুষ্ঠু, অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব, সেটা প্রমাণিত। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোন অবকাশ নেই। যথা সময়ে, যথা নিয়মে, আইন কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, সেখানে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে।’
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যে কোন একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন, তাদের দেশেও একেইভাবে নির্বাচন হয়। আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করবার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে।’
তিনি বলেন, বন্ধু রাষ্ট্র তাদের নানা ধরনের মত থাকতে পারে কিন্তু কে এসে কি বলে গেলো, সেটা বড় বিষয় নয়। তবে তাদের মধ্যে ভিন্ন কোন মত নেই। সবাই অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাই বলছেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহারের অঙ্গীকার অনুযায়ী শিক্ষার সকল পর্যায়ে মান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমের কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি। শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।’
তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার ছিল, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি, আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে।
তিনি বলেন, যেখানে শিক্ষক প্রয়োজন, সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। একই সাথে অবকাঠামগত উন্নয়ন, লাকসই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সব কিছু মিলিয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার গুনগত মানের উন্নতি হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, ‘আজকে উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সকল রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে। কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে।’
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করবেন বলেছিলেন, তার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছে বর্তমান সরকার।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যন আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, জেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
Leave a Reply