অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতে ২২টি রাজ্যে ২৩৫টি জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বর্ষায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত ভারি বর্ষণে ৭৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার ঘরবাড়ি।
বন্যায় আড়াই লাখ হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে।একইসঙ্গে মৃত পশুর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ভূমিধসের কারণে গোটা গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রায়গড়ে ৬টির মধ্যে ৩টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে অম্বা, সাবিত্রী এবং পাতালগঙ্গা।
কর্মকর্তারা বলেছেন, কুণ্ডলিকা, গড়ি ও উলহাস নদীর পানিরস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১২টি ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা ‘এনডিআরএফ’টিম মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, গুজরাটে ভারী বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি জেলায় ‘এনডিআরএফ’টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, পূর্ব রাজস্থান, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা ও অন্ধ্র প্রদেশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
মহারাষ্ট্রের থানে, রায়গড়, পুনে এবং পালঘর জেলায় ভারী বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মহারাষ্ট্রের নান্দেদের ১২টি গ্রামে বন্যার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করায় প্রায় এক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে আজ পালঘরে এবং পুনেতে সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রয়েছে।
দিল্লিতে কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভা দিল্লির বন্যা দুর্গতদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা অনুমোদন করেছে। উত্তরপ্রদেশে ১৪টি জেলার ৪০৬টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। এতে ৩৮,৯৯৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের কঠুয়া জেলায় গত (বুধবার) বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসবিআই-এর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ, ‘বিপর্যয়’ এবং বর্ষাজনিত বন্যার কারণে দেশের ১০ হাজার কোটি/১৫ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
Leave a Reply