অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করব। আর ছাড় নয়- এই দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। এদের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিরাপদ নয়।’
ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলাবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ চায় সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু জনসমর্থনে অবিশ্বাসী বিএনপি নির্বাচনে সংঘাত করতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করছে। খবর পাচ্ছি সীমান্তের এপার থেকে অস্ত্র কিনছে তারা।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে- গণশক্তি জনশক্তি নয়। তারা মনে করে- অস্ত্রশক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা আসে, তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সেই ধারাবাহিকতায় জনগণের প্রতি বিএনপির আস্থা নেই। তারা জানে যে- নির্বাচন হলে কী ফল হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটা দল যে দলকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন হলে তাদের জয় সুনিশ্চিত। নতুবা তারা নির্বাচনের চলমান ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ওবায়দুল কাদের বলেন, চোখ কান খোলা রাখুন। সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন পর্যন্ত। বিএনপি সংঘাত চায়। মাঠে সতর্ক থাকব সংঘাত যারা করতে আসবে তাদের প্রতিহত করব। তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের শোকের মাসের কর্মসূচিও যখন আমরা নিতে যাই তখনও বিএনপি ও তার দোসরাতো বলেই, কিছু মিডিয়াও এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বলে প্রচার করে। শোকের মাসেও কি আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছি? আমরা তো বলেছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। ২৪ থেকে ২৭, ২৭ থেকে ৩০ এটা আমাদের সুবিধার ব্যাপার। আপনারা ডেকেছেন মহাসমাবেশ আর আমাদেরটা হলো তারুণ্যের সমাবেশ। তারুণ্যের যাত্রা। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কি করে? কোথায় পাল্টাপাল্টি হলো?
তিনি বলেন, কি কারণে আমরা সংঘাত করব? সংঘাত তারাই করে যারা দুর্বল, তাদের কোনো সমর্থক নেই। আমরা সংঘাত করতে যাব কেন?
শোকের মাসের কর্মসূচি ঠিক করতেই এ মতবিনিময় সভা ডাকা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানানো হবে। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া ১৫ এবং ২১ আগস্টকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলন হক, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply