অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিপাইনে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ডকসুরি। এতে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে এই শক্তিশালী ঝড়। বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং নিচু গ্রামগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে পড়েছে। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় সময় বুধবার আঘাত হানা শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১০৮ মাইল) বেগে বাতাস বয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে এই ঘূর্ণিঝড়টি তাইওয়ান এবং চীনের ওপর আছড়ে পড়বে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত রিজাল প্রদেশে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশে উচ্চঝুঁকিতে থাকা উপকূলের গ্রামগুলো থেকে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সতর্কতার কারণে স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কাগায়ানের গভর্নর ম্যানুয়েল মাম্বা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, আমাদের উত্তর উপকূলীয় শহরগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে বাড়ির ছাদ উড়ে যাওয়া এবং বন্যার খবর পাচ্ছি।
এদিকে ফিলিপাইনের আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, বুধবার উত্তর-পশ্চিম কাগায়ান এবং দূরবর্তী বাবুয়ান দ্বীপপুঞ্জের পাশাপাশি উত্তরের পার্বত্য আপায়াও এবং ইলোকোস নর্তে প্রদেশে সহিংস এবং জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপরদিকে কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সমুদ্রযাত্রা স্থগিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন বন্দরে চার হাজারের বেশি যাত্রী আটকা পড়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন বলছে, ঘূর্নিঝড় ডকসুরি উত্তর-পশ্চিমে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিমি (৬ থেকে ৯ মাইল) বেগে অগ্রসর হবে এবং বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Leave a Reply