অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতীয় নারী আঞ্জু প্রেমের টানে স্বামী, সন্তান ফেলে পাকিস্তানে গেছেন। সেখানে গিয়ে হিন্দু থেকে মুসলিমে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়েও করেছেন পাকিস্তানি যুবক নসরুল্লাহকে। আঞ্জু থেকে হয়েছেন ফাতিমা।
কিন্তু তার এমন কাণ্ডের মাসুল গুনতে হচ্ছে ভারতে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের। ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিনিয়তই নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আঞ্জুর পরিবার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি যুবককে বিয়ে করার পরই ভারতে থাকা আঞ্জুর পরিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়েছেন। এরই মধ্যে কাজ হারিয়েছেন তার ভাই ও স্বামী। এমনকি, একঘরে করে দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে।
আঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাস ভারতের গোয়ালিয়রের বউনা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দর্জির কাজ করেন তিনি। সেখানে তার নিজের একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু আঞ্জু পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তার কাছে আর পোশাক তৈরি করতে দিচ্ছে না। তার দোকান প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
জানা যায়, দুটি আলাদা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন আঞ্জুর ভাই ডেভিড থমাস ও ভারতীয় স্বামী অরবিন্দ মীনা। সম্প্রতি তারা দুজনই চাকরি হারিয়েছেন। আঞ্জুর ভাই ডেভিডকে কর্মক্ষেত্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তার স্বামী অরবিন্দকে বলা হয়েছে, পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে। সবমিলিয়ে আঞ্জুর জন্য বেশ বেকায়দার পড়েছে তার পরিবার।
এর আগে ২৩ জুলাই পুলিশের বরাত দিয়ে আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৯ বছর বয়সি নসরুল্লাহ পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে কাজ করেন। ২০১৯ সালে ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব ও পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে নসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে চলে যান আঞ্জু ও ২৫ জুলাই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এনডিটিভি আরও জানায়, বিয়ের আগে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন আঞ্জু। নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ফাতিমা। বর্তমানে তিনি ও নসরুল্লাহ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় বসবাস করছেন। এরই মধ্যে ফাতিমার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার। তার ভিসার মেয়াদ ছিল আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত। আপাতত সে মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
Leave a Reply