অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত সোম ও মঙ্গলবার দুদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জয়পুরহাটের সদর উপজেলা, আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার নিচু এলাকা গুলোতেজলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সদ্য লাগানো এক হাজার ১০৭ হেক্টর রোপা আমন ধানের চারা এবং ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর জয়পুরহাটে স্বস্তির বৃষ্টিপাত হলেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখন তা গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, দীর্ঘ দুমাস ধরে জয়পুরহাটে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গভীর ও অগভীর নলকূপের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে রোপা আমনের চারা রোপণ করতে হয় কৃষকদের। এ ছাড়াও পাট জাগ দেওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়েন জেলার কৃষকরা। দীর্ঘদিন পরে জয়পুরহাটে সোমবার ও মঙ্গলবার দিন – রাত একটানা থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ৪৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে জয়পুরহাট জেলায়। এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৭৫ মিলিমিটার, পাঁচবিবিতে ৪৮ মিলিমিটার, আক্কেলপুরে ১৬০ মিলিমিটার, ক্ষেতলালে ১৬৫ মিলিমিটার ও কালাই উপজেলায় ৪৫ মিলিমিটার। জেলায় গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়ে ৯৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার। এ ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এক হাজার ১০৭ হেক্টর জমির রোপা আমনের চারা এখন পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেসদর উপজেলায় ৪২ হেক্টর, আক্কেলপুর উপজেলায় ৬০০ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৪২০ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে সদ্য রোপণকৃত রোপা আমনের চারা এবং সেই সাথে ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর জয়পুরহাটে স্বস্তির বৃষ্টিপাত হলেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখন তা গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলার কৃষকদের। জলাবদ্ধতায় ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না উল্লেখ করে খাল, বিল ও নদীতে পানি কম থাকায় মাঠের জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত নেমে যাবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।
Leave a Reply