অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নওগাঁ জেলায় খরিপ-২/মওসুমে রোপা আমন ধান রোপণের উৎসব চলছে। মাঠে-মাঠে জমিতে প্রয়োজনীয় পানি সঞ্চিত হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইতে শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- ইতিমধ্যেই জেলায় ৯১ শতাংশ জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্রমতে, চলতি মওসুমে জেলায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল জাতের ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১৯ হাজার ৮২৫ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ৯৭৫ হেক্টর। উল্লেখিত জমি থেকে চালের আকারে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৯ টন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা ভিত্তিক আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় উফশী জাতের ৯ হাজার ৪৩০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৫৩৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ১৫০ হেক্টর।
রানীনগর উপজেলায় উফশী জাতের ১৯ হাজার ৫৭০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১৬০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৭০ হেক্টর।
আত্রাই উপজেলায় উফশী জাতের ৫ হাজার ৪২৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫৫ হেক্টর।
বদলগাছি উপজেলায় উফশী জাতের ১২ হাজার ৯২০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫ হেক্টর।
মহাদেবপুর উপজেলায় উফশী জাতের ১৮ হাজার ৪০৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৯ হাজার ৫৩৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ১৮০ হেক্টর।
পতœীতলা উপজেলায় উফশী জাতের ২২হাজার ১৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৩ হাজার ২৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ১৪০ হেক্টর।
ধামইরহাট উপজেলায় উফশী জাতের ১৯ হাজার ৮৪৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৫৩৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৩০০ হেক্টর।
সাপাহার উপজেলায় উফশী জাতের ৯ হাজার হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৮০৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫ হেক্টর।
পোরশা উপজেলায় উফশী জাতের ১৪ হাজার ৬৪৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৫৫৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫ হেক্টর।
মান্দা উপজেলায় উফশী জাতের ১৫ হাজার ৬৭৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১৮০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৬০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় উফশী জাতের ২৮ হাজার ৪০০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫ হেক্টর।
সূত্র জানিয়েছে- চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার সম্ভাবনা আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র আরও জানিয়েছে- চলতি রোপা আমন ফসলের জন্য মোট ১১ হাজার ২০০ জন প্রান্তিক কৃষকের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১১ হাজার উফশী চাষীর এবং ২০০ জন হাইব্রিড চাষীর।
১১ হাজার উফশী চাষীদের প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির বিপরীতে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি সার এবং ১০ কেজি করে ডিএপি সার। অপরদিকে ২০০ জন হাইব্রিড চাষীর প্রত্যককে ১ বিঘা জমির বিপরীতে শুধুমাত্র ২ কেজি করে বীজ প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply