অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ায় সফরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। তিনি জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ায় সফর করবেন। দুদেশের এই দুই শীর্ষ নেতার নজিরবিহীন বৈঠকেই পুতিনকে আমন্ত্রণ জানান কিম। খবর আল জাজিরার।
তবে তাদের এই বৈঠককে ভালো চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে এই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং উত্তর কোরিয়ার হাতে সংবেদনশীল ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর থেকে পুতিনকে খুব একটা অন্য কোনো দেশে সফর করতে দেখা যায়নি।
বৈঠকে পুতিন এবং কিম একজন অন্যজনকে কমরেড বলে সম্বোধন করেন। ৭০ বছর বয়সী রুশ প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশ উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার আশেপাশ কিমকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। সে সময় তাদের হাতে ছিল রুশ ওয়াইন। তারা নিজেদের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং দুদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায়।
আলোচনার শেষ দিকেই কিম পুতিনকে তার দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান। পুতিন খুব আনন্দের সঙ্গেই সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার বন্ধুত্বের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর জন্য কিম এবং পুতিনের বন্ধুত্ব বেশ উদ্বেগজনক। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য উত্তর কোরিয়াকে দোষারোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আসলেও তাদের এই অভিযোগ সত্যি কি না তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
যদিও রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা নিজেদের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়ায় সফর করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু। সে সময় তাকে নিষিদ্ধ ব্যালেস্টিকি ক্ষেপণাস্ত্র দেখান কিম।