অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুরের বিরামপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক বাড়িঘরের টিন উড়ে গেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, টিন ও নগদ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো মধ্যে বিরামপুর দিওড় এলাকার বাঁশবাড়িয়া আশ্রয়ণসহ ২৮টি, নবাবগঞ্জ বিনোদনগর ও গোলাপগঞ্জ এলাকার শতাধিক এবং হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুর জামান আসাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও রোববার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী দুদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে সেখানকার চারটি আশ্রয়ণের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। কোনো ঘরের সামনের বারান্দার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আশ্রয়ণের ঘরে থাকা মমতা বেগম বলেন, এলাকায় কদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে বসে আছি। হঠাৎ করে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে আমার ঘরের টিন উড়ে যায়। বারান্দার টিনগুলো উড়ে পাশের ঘরে ওপর পড়ে।
সাইদুল নামের একজন জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। পরিবারের কয়েকজন নিয়ে ঘরের ভিতর ছিলাম। হঠাৎ বাইরে ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ঘরের চালাগুলো উড়ে যায়।
জানতে চাইলে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম বলেন, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়ণের চারটিসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, এত বান্ডিল টিন ও নগদ অর্থ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তিন হাজার টাকা, এক বান্ডিল টিন ও শুকনো খাবার দেওয়া হবে।
Leave a Reply