অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুধী সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে বাটন টিপে এবং বাঁশি বাজিয়ে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজ হাতে কাটলেন ট্রেনের টিকেট। বাঁশি বাজিয়ে উড়ালেন সবুজ পতাকা। বঙ্গবন্ধু কন্যার এমন নির্দেশনায় বেজে উঠলো ইঞ্জিনের হুইসেল। মাওয়া স্টেশন থেকে চলা শুরু হলো আরেকটি স্বপ্নের।
ফুলে ফুলে সাজানো লাল-সবুজ রেলগাড়ী ছুটে চললো পদ্মা সেতু অভিমুখে। জাতির আশা আকাংক্ষা-উন্নতি আর একটি সোপানের প্রথম যাত্রার সঙ্গী হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সুধি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে জনগণ। বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলেও সাফ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল ১১টার একটু আগে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তিনি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে সড়ক পথে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক হয়ে মাওয়ায় যান।
এসময় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মাসেতু দিয়ে রেল যোগাযোগ উদ্বোধন শেষে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply