অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও নিরাপদ করতে সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনে দাবি জানিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। বর্তমান কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছা পোষণ করেছে দলটি। এ নিয়ে তাদের কোনো প্রশ্ন নেই। জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে, এমনটাও জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা সিইসি বরাবর চিঠি দেন।
তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে কমিশন। তৃণমূল বিএনপির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
তৃণমূল বিএনপি সিইসিকে জানায়, তৃণমূল বিএনপির মূল স্লোগান হলো ‘সুষ্ঠ রাজনীতি সুশাসনের ভিত্তি’। আমরা বিশ্বাস করি রাজণীতি সুস্থ না হলে কোনোদিন সুশাসন সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি আপনি ও আপনার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। আপনাদের আগামী দিনের কর্মকাণ্ড তা প্রমাণ করবে বলে আশা করি। আমরা আজ তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলো পেশ করলাম।
নির্বাচনে সবার জন্য সবার সুযোগের জন্য ১২ দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। তৃণমূল বিএনপির সুপারিশসমূহ: পবিত্র সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকতে হবে। বিশেষ করে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনও বদলিসহ প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। নির্বাচনকালীন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
সমাজের বড় একটি অংশ ভোট বিমুখ হয়ে পড়েছে। তারা ভোটদানে বিরত থাকছে। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোট প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। তাদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি টিভির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে। এতে জনগণের আস্থা অর্জিত হবে।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি করেছে দলটি।
Leave a Reply