অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘আগুনসন্ত্রাসের’ বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা আগুনসন্ত্রাস করতে আসবে তাদের চিহ্নিত করে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিলাম।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক পরিবহন অধিদপ্তরের ১৫০টি সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৫০টি সেতু উদ্বোধনের আগে একটি গাছের চারা রোপণ করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা আমার থেকে তো কেউ বেশি জানে না। যারা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে আমরা ইতোমধ্যে সহযোগিতা দিয়েছি। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে যারা মারা গিয়েছিল তাদের পরিবারকে এবং বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল তাদেরকেও ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। আর যারা আহত হয়েছে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে, তাদেরকে আমরা চিকিৎসা করেছি, এখনো তাদের চিকিৎসা সহায়তা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যেন এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস অগ্নিঘটনা আর না আসে, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করছে ঠিক আছে, করুক। কিন্তু তারা যদি আগুনসন্ত্রাস করতে আসে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নিতে হবে। এটা আমি পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাকে বলে দিলাম। তারা আন্দোলন করুক তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে না কথা বলে। তাদের সমালোচনা করতে চাই না’ এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির কথা ও কাজ সবই ধ্বংসাত্মক। এ ব্যাপারে দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি তারা ধ্বংস করুক, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য আমরাই কাজ করেছি, অনেক ভালো কাজ করেছি, তাই ভালো কথাই বলতে চাই। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকারে আসি, তখন সারা বাংলাদেশে কীভাবে উন্নয়ন গড়ে তুলব সেই প্রচেষ্টা আমরা চালাই।’
বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা প্রতিদিন আমাদের পদত্যাগ চায়। সে দাবিতে প্রতিদিন আন্দোলন করছে, করুক। আমার আছে জনগণ। আমার তো আর কেউ নেই। বাবা-মা ভাইবোন সবই তো হারিয়েছি।’
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল। কিন্তু এই ৩০টা সিটের মধ্যে বিএনপির প্রাপ্ত সিট ছিল মাত্র ২৩টা সিট। এ হলো তাদের জনগণের শক্তি ও গ্রহণযোগ্যতা।’
সরকারপ্রধান এসময় ‘বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন করার লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘সেটা আমরা করেছি। সেই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাও নির্ধারণ করেছি।’
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্রসীমা আইন করে যাওয়ার পরও দীর্ঘ ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কিন্তু দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে উদ্যোগ নেয়নি’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।