অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) কাতারের রাজধানী দোহায় তুরস্কের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
জসিম আল থানি বলেন, গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা ইউক্রেনে নিহত শিশুদের সংখ্যার চেয়ে বেশি। তারপরও এ ব্যাপারে আমরা কার্যকর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিনি।
টানা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনা। গাজায় প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি শিশু।
গত ১৮ দিন ধরে চলমান লড়াইয়ে গাজায় ২ হাজার ৩৬০ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৩৬৪ শিশু। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থার মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক অ্যাডেল খোদর এ তথ্য জানান।
এদিকে, শেষ এক বছরে রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের ১৩৬ শিশু নিহত হয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকে এ সংখ্যা ৪৭৭। গত অক্টোবরে জাতিসংঘের এ রিপোর্টের তথ্য প্রকাশ করে জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ। প্রতিবেদনটি তৈরি হলেও এখনও প্রকাশিত হয়নি।
ডিপিএ জানায়, ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশে আহত শিশুর সংখ্যা কয়েকগুণ বলেও জানায় সংস্থাটি।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে এ গণনা করা হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সঙ্কটাপন্ন অনেক শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সে হিসেবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নিহত শিশুর সংখ্যা বেশি হবে বলেও ধারণার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এর আগে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলকে অনিয়ন্ত্রিত হত্যার অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। ইসরায়েল তার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে।
শুরা কাউন্সিলের বার্ষিক অধিবেশনে নিজের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাতারের আমির। এ সময় তিনি হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে সংযত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানান। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জনগণের পানি বন্ধ করে দেওয়া বা খাদ্য প্রতিরোধ করা মোটেই উচিত নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: আল জাজিরা
Leave a Reply