03 Dec 2023, 09:50 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকায় অবরোধের সময় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ ট্রাকের হেলপার বেলাল হোসেন (৩৫) মারা গেছেন।

হরতার-ধর্মঘটে যত মানুষ মরছে তার প্রত্যেকটির দায় ইহকাল ও পরকালে বিএনপি নেতাদের বহন করতে হবে। ঐসব মানূষগেুলো কিয়ামতের ময়দানে দাড়িয়ে যখন বিচার চাইবে তখন এইসব নেতারা টের পাবে বিনাদোষে মানুষগুলোকে হত্যার কি মজা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।

তরিকুল ইসলাম বরেন, বেলালের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

এর আগে সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পর দিন মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়।

নিহত বেলাল হোসেনের জামাই রাসেল জাগো নিউজকে জানান, সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সরকারি চালবোঝাই একটি ট্রাক মাটিরাঙ্গা তাইন্দং খাদ্য গুদামের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নের আলাউদ্দিনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে দুর্বৃত্তরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ট্রাকচালক ইসহাক মিয়া ও হেলপার বেলার হোসেন দগ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শেখ হাসিনা বার্নের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, বেলাল হোসেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার মাটিরাঙ্গা আদর্শ গ্রামের শহিদুল হকের ছেলে।

খাগড়াছড়িতে অবরোধে দগ্ধ বেলাল মারা গেছে ; এসব হত্যার দায় বিএনপি নেতাদের বহন করতে হবে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টানা ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৪০০ এর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আকাশ, নৌ এবং স্থল বাহিনী গাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফাইটার জেট খান ইউনিসে ৫০ এর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে এক মসজিদকে লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বলছে, ওই মসজিদ ইসলামিক জিহাদ অপারেশনাল কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতো।

তবে আইডিএফের এ দাবি বিবিসির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৭৫ জন নিহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০ জন। আহত হয় তিন হাজারের বেশি। সেইসময়ে ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাসের যোদ্ধারা।

এরপরে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। টানা প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হামাস ও ইসরায়লের যুদ্ধের পর উভয়পক্ষ প্রথমে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়। এরপর দুইধাপে আরও তিনদিন বাড়ানো হয়। গতকাল সকালেই সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। এরপরেই উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।

 

৭ দিনের যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে গাজায় ৪০০ স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া পিলিস্তিনি বন্দীরা বলছেন ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে তারা কারাগারে নির্বিচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

তারা জানান, এসময় তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের উপর কুকুর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জামাকাপড়, খাবার দেওয়া হয়নি। তাদের কাছ কম্বল কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে একজন নারী বিবিসিকে জানিয়েছেন কারাগারে তাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া তারা যে প্রকোষ্ঠে আটক ছিল তার ভিতরে দুবার টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।

গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের বিনিময়ে এই সপ্তাহে এই প্যালেস্টাইনিদের মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বিবিসি তাদের ছয়জনের সাথে কথা বলেছে। তাদের প্রত্যেকেই বিবিসিকে বলেন, জেল থেকে ছাড়ার আগে তাদের সবাইকে মারধর করা হয়েছে।

প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি বলছে, ইসরায়েলি কিছু রক্ষী হাতকড়া পরা বন্দীদের গায়ে প্রস্রাব করেছে।

গত সাত সপ্তাহে ইসরায়েলি হেফাজতে ছয়জন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করছে, সকল বন্দিকে আইন অনুযায়ী আটক রাখা হয়েছে।

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত প্যালেস্টাইনিদের একজন আঠারো বছর বয়সী মোহাম্মদ নাজ্জা। তিনি জানান তাকে আগস্ট মাস থেকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই নাফহা কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছিল। তিনি বলছেন কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিনের কাছে কাবাতিয়া গ্রামে তার বাড়ি। সেখানে বিবিসির সাংবাদিকেরা গিয়ে দেখতে পান তার দুই হাতেই ভারি ব্যান্ডেজ। তিনি জানান,

দশ দিন আগে ইসরায়েলি কারারক্ষীরা মাইক্রোফোন ও স্পিকার নিয়ে তার সেলে গিয়ে বন্দীদের নাম বলে চিৎকার করতে থাকে এবং হাততালি দিয়ে তাদের ব্যঙ্গ করতে থাকে। এরপর যখন তারা দেখল বন্দীরা কোনো প্রতিক্রিয়া করছে না, তখন ওই রক্ষীরা তাদের মারতে শুরু করে।

এসময় বয়স্ক বন্দীদের পিছনে এবং তরুণদের সামনে রাখা হয়েছিল।

মোহাম্মদ নাজ্জা বিবিসিকে বলেন, তারা আমাকে মারতে শুরু করার পর আমি আমার মাথা রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। পরে তারা আমার পা ও আমার হাত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে থাকে।

সোমবার মুক্তি পাওয়ার পর মোহাম্মদের পরীক্ষা করানো হয়। মেডিকেল রিপোর্ট ও এক্স-রে রিপোর্টে তার উভয় হাতেই ফ্র্যাকচার দেখা যায়।

মোহাম্মদ বিবিসির সাংবাদিকদের বলেন, “শুরুতে অনেক ব্যথা লাগছিল। কিছুক্ষণ পর যখন বুঝলাম যে হাড়গুলো ভেঙে গেছে, সেগুলো নাড়াচাড়া বন্ধ করে দিই।

তিনি জানান, অন্য বন্দীরা তাকে খেতে এবং বাথরুম ব্যবহার করতে সাহায্য করে। আবার মারধর করা হবে এই ভয়ে তিনি রক্ষীদের কাছে চিকিৎসা সহায়তা চাননি।

মোহাম্মদের দাবি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস। তাদের দাবি কারাগার থেকে বের হওয়ার আগে একজন চিকিত্সক দিয়ে তার পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি তার।

মহম্মদ বিবিসিকে বলেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে রেড ক্রসের বাসে ওঠার পর প্রথম চিকিৎসা পান তিনি। এরপর রামাল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্লাস্টারে না সারলে প্লেট লাগাতে হতে পারে।

মোহাম্মদ বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি কারাগারের ভেতরে রক্ষীদের আচরণ বদলে যায়। তিনি বলেন, রক্ষীরা তাদের লাথি মেরেছে। আঘাত করার জন্য লাঠি ব্যবহার করেছে। একজন প্রহরী তার মুখের উপর পাও তুলে দেয়।

তিনি আরো বলেন, “তারা তাদের কুকুর নিয়ে আসে। পরে আমাদের দিকে লেলিয়ে দেয়। তারপরে তারা আবার আমাদের মারধর শুরু করে। তারা আমাদের জামাকাপড়, বিছানা, বালিশ বাইরে এবং খাবার মেঝেতে ফেলে দেয়। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”

মোহাম্মদ তার পিঠ ও কাঁধে আঘাতের চিহ্নগুলি বিবিসিকে দেখিয়ে বলেন, এই হচ্ছে সেই মারধরের চিহ্ন।

তিনি বলেন, আক্রমণকারী কুকুরটি মুখ ও নখ দিয়ে আমার সারা শরীরে চিহ্ন রেখে গেছে।

ইসরায়েলের মেগিদ্দো কারাগারে এই ধরনের মারধরের ঘটনা দুবার ঘটেছে বলে জানান মোহাম্মদ। এরপর নাফহা কারাগারে এ ধরনের ঘটনা আরো বেশি ঘটেছে বলে জানান তিনি।

অন্য আরো কয়েকজন প্যালেস্টাইনি বন্দীর সাথে কথা বলে একই রকম নির্যাতনের কথা শুনেছে বিবিসি। বন্দীরা বলেছে হামাসের কর্মকাণ্ডের জন্য প্যালেস্টাইনি বন্দীদের বিরুদ্ধে এটাকে “প্রতিশোধ” হিসাবে নিয়েছিল ইসরায়েলিরা।

প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির প্রধান, আবদুল্লাহ আল-জাঘরি বিবিসিকে বলেন অনেক বন্দীর মুখ ও শরীরে হিংস্র প্রহারের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি হাতকড়া পরা বন্দীদের উপর প্রহরীদের প্রস্রাব করার অভিযোগও তিনি শুনেছেন বলে জানান বিবিসিকে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিবিসি যোগাযোগ করলে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস বলেছে সমস্ত বন্দিকে আইন অনুযায়ী আটক রাখা হয়েছে এবং আইনানুগভাবে তাদের সমস্ত মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হয়েছে।

বিবিসির কাছে পাঠানো বিবৃতিতে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বিবিসি বর্ণিত এসব দাবির বিষয়ে আমরা অবগত নই। তারপরও, বন্দী ও আটক ব্যক্তিদের অভিযোগ দায়ের করার অধিকার রয়েছে। কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখবে।”

এই সপ্তাহের শুরুতে কারাগার থেকে মুক্তি পান প্যালেস্টাইনি নারী লামা খাতের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, অক্টোবরের শেষের দিকে গ্রেপ্তারের পরপরই ইসরায়েলের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাকে “স্পষ্টভাবে ধর্ষণের হুমকি” দেন।

লামা লিখেছেন, “আমাকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল এবং চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। তারা আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল। … এটা স্পষ্ট যে তাদের লক্ষ্য ছিল, আমাকে ভয় দেখানো।”

লামা খাতের টেলিফোনে বিবিসিকে বলেন অন্য নারী বন্দিদেরও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ড্যামন কারাগারে বন্দীদের ওপর টিয়ার গ্যাস মারা হয়েছিল।

ইসরায়েলি কারাগারে ছয়জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেছে, গত সপ্তাহে চারটি ভিন্ন তারিখে চারজন বন্দী মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

কারাগারে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত তিন ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ওই হামলা চালানো হয়। অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলার ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। আল আহলি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. ফাদেল নাইমের বরাত দিয়ে এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে পুণরায় লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। সেখানে যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই দুপক্ষের মধ্যে আবারও লড়াই শুরু হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৪ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় জিম্মি হিসেবে আটকে রাখা ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। অপরদিকে কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩ ঘণ্টায় ৩২ ফিলিস্তিনির নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই তথ্য সামনে এনেছে। শুত্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায়, বিশেষ করে গাজা ও উত্তর গাজা গভর্নরেটের ৬০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করার কারণে আমাদের জনগণ সত্যিকারের এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।’

এতে বলা হয়েছে, ‘৫০ হাজারেরও বেশি পরিবার তাদের বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে হারিয়েছে। অন্যদিকে আড়াই লাখ আবাসন ইউনিট ইসরায়েলি হামলার কারণে আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’

গাজার স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা সম্পর্কে মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘অঞ্চলটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখনও গুরুতর বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। বোমা হামলা, দখল, ধ্বংস ও হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার কারণে ২৬টিরও বেশি হাসপাতাল ও ৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।’

অফিসটি উল্লেখ করেছে, ‘হাজার হাজার নিহতের মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে এবং সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি সংকটের কারণে বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো এখনও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।’

গাজার পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর সহায়তা বহনকারী দৈনিক ১ হাজার ট্রাক এবং দৈনিক ১০ লাখ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন বলেও জোর দিয়ে জানিয়েছে মিডিয়া অফিস।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘটিত অপরাধের জন্য ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্পূর্ণরূপে দায়ী বলেও জানিয়েছে তারা।

এই পরিস্থিতিতে ‘জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্যের প্রবেশ এবং আরও বৃহৎ সংখ্যক ট্রাকের প্রবেশে বিলম্ব বা বাধা না দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গাজার ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসাইন আমিরআবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদ তাদের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হলো ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমিরআবদুল্লাহিয়ানের বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিসা দেওয়ায় বিলম্বের কারণে ইরানি প্রতিনিধি দলের পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

কিন্তু এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের সাহসের সঙ্গে স্বীকার করে নিতে হবে ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনিদের প্রশ্নে আইনগত ও নৈতিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ।

এই ব্যর্থতার একমাত্র কারণ হলো দখলদার বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সমর্থন। তাছাড়া ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতেও কোনো পদক্ষেপ কার্যকর করতে দিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন। এটি আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার জন্য একটি নৈতিক ব্যর্থতা এবং বিবেকের অবমূল্যায়ন।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শক্তিশালী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করছে নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত তিন ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ওই হামলা চালানো হয়। অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলার ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। আল আহলি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. ফাদেল নাইমের বরাত দিয়ে এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: ইরনা নিউজ

ফিলিস্তিন ইস্যুতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ জাতিসংঘ : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়, কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিক ভাবে কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায়নি। কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়েছে, তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে, এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। বিএনপির ডাকে নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কি না এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুল নীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক।

তিনি আরও বলেন, ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫ টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে।

কাদের বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালো হাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে। বিএনপির কেউ যদি দল পরিবর্তন করলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে কাউকে ব্ল্যাকমেইলিং করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকে বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণের নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাচাই হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয় এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সব ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষ। বিএনপির ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্তের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বিএনপির যেসব নেতা জেলে রয়েছে তারা দায় এড়াতে পারবে না। তাদের বিচার হচ্ছে। একইভাবে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে, সব কিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয় ; দল ছেড়ে দলে এসেছেন : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশ ও জনগণই মুখ্য, অন্য কিছু নয়। যার কারণে বিগত ১০ বছর সিসিক মেয়রের পদ আওয়ামী লীগের না হলেও উন্নয়নে বিন্দুমাত্র বৈষম্য ছিল না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেটে নিজ বাসভবনে সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট-১ আসন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আসন। আর এই আসনের ভোটারদের কাছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের সুবিধা অসুবিধায় কাউন্সিলররা সবসময় পাশে থাকেন। একই সঙ্গে তারা সরকারের মাঠ পর্যায়ের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে কাউন্সিলদের কোনো বিকল্প নেই। এ আসনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতেই হবে।

সভায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা নির্বাচনে বিজয় সুনিশ্চিতের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা ও ভোটারদেরকে নির্বাচনমুখি করার বিভিন্ন দাবি, পরিকল্পনা, সুপারিশ প্রদান করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেগুলো বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা হোসেন, সিসিকের কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, জগদীশ চন্দ্র দাশ, আজাদুর রহমান আজাদ, তৌফিক বক্স, শান্তনু দত্ত সনতু, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা।

 

 

শেখ হাসিনার কাছে দেশ ও জনগণই মুখ্য : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় পৃথিবী গ্রহটিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি এ আহ্বান জানান।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল ২০ দেশের জোটের (সিভিএফ-ভি ২০) বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।

ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তথ্যমন্ত্রী পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরমে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।

জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’র অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। একই সঙ্গে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।

মন্ত্রী পরে কপ২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকেও অংশ নেন।

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওসি-ইউএনওদের বদলির বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য নিয়ে প্রশাসনে রদবদল করা হয়েছে। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার কোনো ঝুঁকি নেই।

নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেটি অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী আছেন, আর ২৯টি দল আছে। আগে ৩০টি দিয়েছিল। তবে তারমধ্যে জেডিপি বলে একটি আছে, সেটি কোনো দল না, সেটি স্বতন্ত্র হবে। তাই সবমিলিয়ে নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি দল আমাদের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রয়োজন মনে করলে কমিশন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। প্রশাসন এখন পর্যন্ত ভালোই দেখছি, কোনো অসুবিধা নেই।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসির নির্দেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) লন্ডনে জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এ এজেন্সির ৩৩ তম অধিবেশনে ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হয়।

এবারের ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনে ২৫ টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচিত হয়।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী এমন দশটি দেশ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন দশটি দেশ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত নয় অথচ যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়।

 

এবারের নির্বাচনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এ অর্জন বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান এবং বৈশ্বিক মেরিটাইম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের একটি প্রমাণ। এ বছরের জুনে নিরাপদ জাহাজ পুনর্ব্যবহার সংক্রান্ত হংকং কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুসমর্থন যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদন্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করেছে। তা এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। এ নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত ও সুশৃংখল এবং সংগঠিত করবে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরে দক্ষতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক খ্যাতি অর্জন করবে।

জানা যায়, আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী কাজ করে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। এটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৫ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমওর হেডকোয়ার্টার লন্ডনে অবস্থিত। নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশের আইএমও’র ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

বাংলাদেশ আইএমওর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলি : ইসি