অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজাবাসী ছাড়া অন্য কাউকে এই উপত্যকা শাসন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব হামাস পালন করছে। তবে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল দাবি করে আসছে, তারা এ যুদ্ধে হামাসকে ধ্বংস করে দেবে এবং এরপর অন্য কারো হাতে এই উপত্যকার শাসনভার তুলে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে গাজার নিরাপত্তা রক্ষার কথিত দায়িত্ব অনির্দিষ্টকালের জন্য পালন করবে ইসরাইল। তেল আবিবের এই দাবির প্রতি আমেরিকা সমর্থন জানিয়েছে।
হামাসের সিনিয়র পলিটব্যুরো নেতা ওসামা হামদান এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “আমরা মার্কিন প্রশাসনের পাশাপাশি অবৈধ দখলদার ও অপরাধী ইসরাইলি নেতাদের জানিয়ে দিতে চাই, গাজা উপত্যকা কেবল এখানকার অধিবাসীরা শাসন করবে। এখানকার রাজনৈতিক কিংবা নিরাপত্তাগত বিষয় দেখতে অন্য কারো হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।”
বৈরুত প্রবাসী হামদান রোববার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আরো বলেন, “আমরা গাজাবাসী স্বাধীন জাতি এবং আমরা অন্য কারো অভিভাকত্ব গ্রহণ করি না। আমরা রক্ত ও প্রাণ উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করব। কাজেই গাজা নিয়ে তোমাদের মাথাব্যথা না করলেও চলবে, তোমরা বরং আপন প্রাণ বাঁচাও।”
হামদান এমন সময় এ বিবৃতি দিলেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে বলেছিলেন, গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই উপত্যকাকে পশ্চিম তীরের প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত করে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হবে।
তবে শনিবার ইসরাইলি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, গাজার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল আবিবের হাতে থাকবে। এ ঘটনায় অবশ্য গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আমেরিকা ও ইসরাইলের মধ্যকার মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে; যদিও হামাস নেতার মতে, ওই মতবিরোধ গাজার ভবিষ্যতের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
Leave a Reply