অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা কিংবা জর্দান নদীর পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কার করার যেকোনো ইসরাইলি পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন জর্দানের রাজা আব্দুল্লাহ ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি। গতকাল (বুধবার) রাজা আব্দুল্লাহ কায়রো সফর গিয়ে প্রেসিডেন্ট সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর দু’দেশের এই অবস্থান ঘোষণা করা হয়।
গাজা উপত্যকা থেকে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে মিশরের সিনাই উপত্যকায় পাঠিয়ে দেয়ার একটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ইসরাইলের রয়েছে। সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেল আবিবের পক্ষ থেকে এ ধরনের কথাবার্তা জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে জোর করে বের করে দিয়ে সেখানে ইসরাইলের জন্য একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র নির্মাণের কথাও ইসরাইলি গণমাধ্যমে জোরেসোরে উচ্চারিত হচ্ছে।
কিন্তু মিশর ও জর্দানের দুই নেতা গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বহিষ্কারের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন। জর্দানের সরকারি বার্তা সংস্থা পেত্রা নিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিশরে পাঠিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট সিসি যে অবস্থান নিয়েছেন তার প্রতি রাজা আব্দুল্লাহ জোরালো সমর্থন দিয়েছেন।
তারা দু’জনই গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য গোটা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মিশরের প্রেসিডেন্ট ও জর্দানের রাজা গাজার ২৩ লাখ মানুষের নিত্যপ্রয়োজন মেটানোর উপত্যকায় পর্যান্ত ত্রাণ তৎপরতারও ওপর জোর দিয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, তিনি হামাসকে ‘নির্মূল’ করে তাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের জীবিত উদ্ধার না করা পর্যন্ত থামবেন না। তার এ অবস্থানের প্রতি ওয়াশিংটন পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বুধবার নেতানিয়াহুকে ফোন করে গাজা যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply